জৈন্তাপুরে ভূমি দখলের চেষ্টা ব্যার্থ করে দিয়েছে পুলিশ

    0
    207

    রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধিঃ জৈন্তাপুরে বাউরীটিলা দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। পুলিশি বাঁধায় রক্তক্ষীয় সংঘর্ষের হাত থেকে রক্ষা পেল উভয়পক্ষ।
    ৪ ফেব্রুয়ারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাটের মাধ্যমে বাউরী টিলায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। ম্যজিষ্ট্যাটের উপস্থিতিতে চা-বাগান কর্তৃপক্ষ এসময় ১২টি ঘর সহ ফসলাদী পুড়ে দেয়। পরবর্তীতে বসবাসকারীরা বাগান কর্তৃপক্ষের অবৈধ ভাবে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাটকে ভূল ব্যাখ্যা করে উচ্ছেদের নামে বসত ঘর ও ফসলাদী পুড়ে দেওয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করে ৩২টি পরিবার। মামলা দায়ের করার পর লালাখাল চা-বাগান কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ নামক অগ্নি সংযোগের ঘটনার ১২দিন পর আজ ১৬ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকাল ১১টায় টিলা বাবুর নেতৃত্বে শতাধিক শ্রমিক বহিরাগত লোক নিয়ে বাউরীটিলা দখলের চেষ্টা চালায়।

    তাৎক্ষনীক ভাবে দখলে থাকা বাউরীটিলার ৩২টি পরিবার বাঁধার সৃষ্টি করে রক্তক্ষীয় সংঘর্ষের ঘটনায় রূপধারন করে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার এসআই প্রদীপের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাঁধার সৃষ্টি করে। বসবাসকারী ও পুলিশের কড়া বাঁধায় পিছু হটে বাগান কর্তৃপক্ষের লাটিয়াল বাহিনী।

    পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং জৈন্তাপুর মডেল থানার এসআই প্রদীপের মধ্যস্থতায় পুলিশ ঘটনাস্থল হতে বাগান পক্ষকে সরিয়ে দেয় এবং উভয় পক্ষকে কাগাজপত্রসহ থানায় ডাকেন।
    দখলদার পক্ষের হাজির আলী জানান- ইতোপূর্বে বাগান কর্তৃপক্ষ আমাদের উপর দুটি মামলা দায়ের করেছে বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে দুটি মামলায় রায় আমাদের পক্ষে দিয়েছেন। এদিকে মাননীয় সহকারী জজ জৈন্তাপুর আদালত, সিলেট স্বত্ব মোকদ্দমা নং-৪৬/২০১৮ দায়েরী রয়েছে।

    তার পরেও বাগান কর্তৃপক্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কখন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাটকে ভূল ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে কখন জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা চালায়। পূর্বের ন্যায় তারা দখলে আসলে আমরা শেষ রক্ষা করতে বাধা দিয়েছি। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে অন্যতায় রক্ষক্ষীয় সংঘর্ষ হত।
    এবিষয়ে জানতে লালখাল বাগানের দখলে নেতৃত্বদানকারী টিলা বাবু প্রতিবেদককে এবিষয়ে কিছু বলতে রাজী হননি। তিনি জানান কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক আমি লোকজন নিয়ে এসেছি।
    জৈন্তাপুর মডেল থানার এসআই প্রদীপ জানান- সংবাদ পেয়ে দ্রুত বাউরীটিলা পৌছে উভয় পক্ষকে আইন শৃংঙ্খলার অবনতি না ঘটার জন্য বাঁধা দেই। পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে এনে বাগান কর্তৃপক্ষ ও বসবাসকারী উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে।