জৈন্তাপুরে রয়েল্ট্রি বঞ্চিত ইজারাদার ও শ্রমিক পরিবারে হাহাকার

    0
    236

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,২৮এপ্রিল,রেজওয়ান করিম সাব্বির:  সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সারী ও বড়গাং নদী ইজারা গ্রহন করে বিপাকে ইজারাদার, শ্রমিক পরিবারে নেমেছে হাহাকার। সরকারী রয়েল্ট্রি আত্মসাৎ করতে একটি পক্ষ ২০দিন যাবত সারী ও বড়গাং কোয়ারীর সকল প্রকার যানবাহনে অবৈধ ভাবে লোড-আনলোড বন্ধ করে রেখেছে। একদিকে ইজারা বি ত হচ্ছে সরকারী লীজ গ্রহিতা, অন্য দিকে অর্ধাহারে অনাহারে দিনানিপাত করছে প্রায় ৩০হাজার নিরিহ বালু শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।

    সরেজমিনে সারীঘাট ও বড়গাং নদী ঘুরে যানা যায়- ২০১৬ সনের ৭ এপ্রিল সারী এবং বড়গাং বালু মহাল জেলা প্রশাসকের দপ্তর হতে যথা নিয়মে টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারাদার মনোনিত হইয়া ইজারা মূল্য, ভ্যাট, আয়কর ইত্যাদি টাকা পরিশোধ করিয়া যথাসময়ে বাঁশকল শব্দটি লিখিয়া দখলদেহী দেওয়ার বিধান থাকা সত্বেও তা দেওয়া হয়নি ইজারাদারকে। পরিশেষে ইজারাদার উপায়ান্ত না পেয়ে আদালতে রীট পিটিশন দায়ের করে যাহার নং-৭২৫৪/২০১৬। উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানী শেষে বাদীর অধিকার সাইবস্থক্রমে রুল এবসোলিট হয়।

    কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি কর্ণপাত করেন নাই। পরবর্তীতে পুনরায় রীট পিটিশন দায়ের করে ইজারাগ্রহীতা যাহার নং-১১,১০৮/২০১৬। মহামান্য হাইকোর্ট ৩ মাসের নিষেদাজ্ঞা জারী করে পূর্বের আদেশ মোতাবেক আরও ৬ মাস সময় বর্ধিত করে যাহা বর্তমানে বলবৎ রহিয়াছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিগত ২৩ মার্চ জেলা প্রশাসক অফিসের ০৫.৪৬.৯১০০.০০৮.০৩০.১১ স্মারকে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহীকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

    জেলা প্রশাসক ও মহামান্য হাইকোর্ট রিট পিটিশন মামলা নং-১১,১০৮/২০১৬ আদেশ মোতাবেক বিগত ২৮ মার্চ জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসের ০৫.৬০.৯১৫৩.০০০.০৮.০০১.১৭.৩৫৮ স্মারকে সরকারী রয়েল্ট্রি আদায়ের জন্য দখল দেওয়া হয় ইজারাদারকে। ইজারাদার বিগত ০৭ এপ্রিল হইতে সরকারী রয়েল্ট্রি আদায় করে আসছে।

    বর্তমানে একটি স্বার্থনেষী মহল সরকারের রাজস্ব না দিয়ে বালু মহাল গুলো বেদখল করা সহ রয়েল্ট্রি না দেওয়ার লক্ষ্যে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবৈধ পন্থায় গাড়ী চালক শ্রমিক সংগঠনের কয়েকজন স্বার্থনেষীরা সারী ও বড়গাং বালু মহালের ট্রাক গাড়ী লোড-আনলোড করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে এমনকি ভিন্ন জেলা হতে আগত ট্রাকে বালু লোড-আনলোডের উপর নিষেদাজ্ঞা জারী করে। যার ফলে গত ২০ দিন যাবৎ ইজারাদার সরকারী রাজস্ব বি ত হচ্ছে।

    তদ্রুপ অবৈধ পন্থায় গাড়ী চালক সংগঠন লোড-আনলোড বন্ধ করার ফলে সারী ও বড়গং নদীর প্রায় ৩০হাজার নিরীহ বালু শ্রমিক এবং সাধারণ বালু ব্যবসায়ীরা অর্ধা হারে অনাহারে দিনানিপাত করছে। ট্রাক শ্রমিকদের অবৈধ লোড-আনলোড কর্মসূচী বহাল থাকলে সরকার যে ভাবে রাজস্ব বি ত হবে তার চাইতে আরও মারাত্বক আকার ধারন করবে সারী ও বড়গাং নদীর প্রায় ৩০হাজার নিরীহ বালু শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা পরিবার গুলোর মধ্যে।

    শ্রমিকদের দাবী দ্রুত প্রদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।