জৈন্তাপুরে লাল শাপলা বিলে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান

    0
    213

    *২০টি কারেন্ট জ্বাল জব্দ * বিলে মাছ ধরা ও মহিষ নামানো নিষেধ *দ্রুত রাস্তা সংস্কার

     

    রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধিঃ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা অন্যতম পর্যটন স্থান লাল শাপলার রাজ্য। বিল গুলো সরকারের ইজারা বাতিল হওয়ায় এলাকার মৎস্যজীবিরা কারেন্ট জ্বাল ব্যবহার করে মাছ শিকার এবং এলাকার কয়েক জন্য ব্যক্তি তাদের গৃহ পালিত মহিষ নামিয়ে লাল শাপলা ধ্বংস করছে। এছাড়া বিলের নালা কেটে দিয়ে পানি শুকিয়ে ফেলছে একটি দখলবাজ চক্র। লাল শাপলা রক্ষা করতে উপজেলা প্রশাসন অভিযানে নামে।
    গতকাল ২৭ আগষ্ট বিকাল ৪টায় জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরীন করিম, জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান লাল শাপলার বিলে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, সহকারী উপজেলা প্রকৌশলী তানবীর আহমদ, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নিত্যানন্দ দাশ, জৈন্তাপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজওয়ান করিম সাব্বির, সমাজসেবী শাব্বির আহমদ, জৈন্তাপুর বাজারের ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী কবির আহমদ, জালাল উদ্দিন প্রমুখ।
    লাল শাপলার বিলে অভিযান শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরীম করিম বলেন- বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম লাল শাপলার বিল হল এই জৈন্তাপুরে। বিলটি দীর্ঘদিন লীজের আওতায় ছিল, এবৎসর হতে বিলটির লীজ প্রথা বাতিল করে দর্শনার্থীদের জন্য একটি অন্যতম পর্যটন এলাকা ঘোষনা করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ বাড়ানোর জন্য লাল শাপলার বিলটি (সংরক্ষণ) রির্জাভ ঘোষনা করা হয়েছে। সম্প্রতি গোপন সংবাদে জানতে পারি কিছু সংখ্যখ ব্যক্তি তাদের গৃহপালিত মহিষ নামিয়ে এবং স্থানীয় মৎস্যজীবিরা কারেন্ট জ্বাল ব্যবহার করে বিলের শাপলা ধ্বংস করে দিচ্ছে। আজ প্রাথমিক ভাবে বিলটিতে অভিযান পরিচালনা করে ২০টি জ্বাল আটক করি।

    তিনি আরও বলেন বিলের সৌন্দর্য্য ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আমাদের অভিযান অভ্যহত থাকবে। আজকের পর যদি হতে বিলে মহিষ এবং জ্বাল দিয়ে মাছ আহরনে কাউকে পাওয়া যায় তাহলে তাকে আটক করে সরাসরি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে কঠিন শাস্তি প্রয়োগের মাধ্যমে আদালতে প্রেরন করা হবে। বিলে পর্যটকদের যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য দ্রুত রাস্তা রাবিশ ফেলে সংস্কার করা হবে। আপতত বিলের পানি আটকানোর জন্য বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া স্থায়ী বাঁধ নির্মাণনের জন্য আমরা পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন বলে জানান।
    উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন- যত বড় প্রভাবশালী হন না কেন লাল শাপলা বিলের সৌন্দর্য্য রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন কঠিন শাস্তি প্রয়োগ করেব। আমি সবাইকে অনুরোধ করব যাতে আপনারা বিলে মাছ ধরা, বিষ প্রয়োগ করা, বিলের নালা ছাড়া কিংবা নালাকাটা, কারেন্ট জ্বাল প্রয়োগ করা, শাপলা ধ্বংস করা সহ লাল শাপলার বিল গুলোতে মহিষ না নামানোর জন্য অনুরোধ করছি। যাহারা আইন অমান্য করবেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিবে।