জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসন চলছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে

    0
    255

    সেবা ও উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা,যেন দেখার কেউ নেই

    রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসনের কার্যক্রম চলছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে। নাগরিক সেবা ও উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা লক্ষনীয় ভাবে নেমে এসেছে, যেন দেখার কেউ নেই। ভোগান্তির প্ররিত্রান পেতে প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে উপজেলাবাসী।
    সরেজমিনে ঘুরে জানায়ায় চলতি বৎসরের শুরু থেকে সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ তৈল গ্যাস ও খনিজ সম্পদে ভরপুর জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসনিক কারনে নাগরিক সেবা ও উন্নয়ন বি ত হয়ে আসছে। উপজেলায় প্রায় ৩৩টি দপ্তর থাকলে এসব দপ্তরের মধ্যে সবচেয়ে জন গুরুত্বপূর্ণ ১১টি দপ্তর চলছে অতিরিক্ত কর্মকর্তা দিয়ে, ৩টি দপ্তর রয়েছে পদ শূণ্য, অতিরিক্ত কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ২জন।
    অতিরিক্ত কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে অতিরিক্তি দায়িত্বে রয়েছেন কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) অতিরিক্ত হিসাবে দায়িত্ব পালন করলেও প্রশিক্ষণ জনিত কারনে পদটি শূণ্য রয়েছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন কানাইঘাট উপজেলা কর্মকর্তা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন বিয়ানীবাজার উপজেলা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা হিসাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা কর্মকর্তা, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন সিলেট সদর উপজেলা কর্মকর্তা, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন সিলেট সদর উপজেলা কর্মকর্তা, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কর্মকর্তা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা কর্মকর্তা অপরদিকে জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অতিরিক্ত কর্মকর্তা হিসাবে কানাইঘাটে দায়িত্ব পালন করছেন।

    এছাড়া ষ্ট্রেশন অফিসার, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স পদটি শূণ্য, উচ্চতর উপসহকারী প্রকৌশলী, বিএডিসি পদটি শূন্য, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, জৈন্তাপুর পদটি শূন্য রয়েছে। পানি উন্নয়ন অধিদপ্তর অফিস সহকারী ব্যতিত বাকী পদ গুলো শূণ্য।

    অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জৈন্তাপুর মডেল থানার পদটি শূণ্য, জৈন্তাপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদটি শূণ্য রয়েছে। অপরদিকে নিজপাট সদর ইউনিয়ন ও ফতেপুর (হরিপুর) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ শূণ্য ঘোষনা হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে ইউপি’র কার্যক্রম। তাই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন সেবা মূলক কাজে সাধারন লোকজন প্রতিনিয়ত হয়রানীর স্বীকার হচ্ছে এবং উন্নয়ন কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। অতিতে সকল রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা গেছে কোন সময় জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসনিক পদ শূণ্য ছিল না।

    হঠাত করে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া এবং তা হতে দ্রুত বের হতে সাধারণ মানুষ বলেন আমাদের নিজ উপজেলার সন্তান, সিলেট-৪ আসনের ৬বারের নির্বাচিত সংসদ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ মহোদয়ের সুদৃষ্টি চান। এলাকাবাসী আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী চাইলে আগামী ৭২ঘন্টার মধ্যে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসন ভারমুক্ত হবে।
    এবিষয়ে জানতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন- শপথ নিয়ে আমি প্রথম অফিস করতে এসে দেখি আমার উপজেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদ গুলোতে ভারপ্রাপ্তদের দিয়েই চলছে। ইতোমধ্যে আমি জেলা সমন্বয় সভায় বিষয়টি তুলো ধরেছি এবং মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে আলাপ হয়েছে। আশারাখি অচিরেই ভারমুক্ত হবে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসন।