তথ্য গোপন রাখলে দুর্নীতির সুযোগ থাকেঃহাসানুল হক ইনু

    0
    235

    আমারসিলেট24ডটকম,০১জুনঃ তথ্যমন্ত্রী  হাসানুল হক ইনু বলেছেন, তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জনগণকে জানাতে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকরা উদাসীন। গণমাধ্যম চাইলে তথ্য অধিকার আইনসম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে পারেন। কিন্তু সংবাদ কর্মীরাই বেশি উদাসীন।আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে ‘তথ্য অধিকার আইন ওপ্রান্তজন-বান্ধব সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসানুল হক ইনু এই মন্তব্য করেন।

    তথ্যমন্ত্রী ইনু বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তথ্য অধিকার আইনের সুফল জনগণের সামনেতুলে ধরলে এই আইনের বাস্তবায়ন সফল হবে। এর ফলে পিছিয়ে পড়া মানুষরাও তথ্যঅধিকার আইনের সুফল ভোগ করতে পারবেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের কোন খাতে, কত টাকা বরাদ্দ হচ্ছে তা ধারাবাহিক ভাবে প্রচারের মাধ্যমে জনগণের সামনে তুলে ধরুন। এর মাধ্যমে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়টি নিশ্চিত হবে।
    তথ্য গোপন রাখলে দুর্নীতির সুযোগ থাকে-এমন ঈঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, সরকারের প্রতিটি মন্ত্রণালয়েরই নিজ উদ্যোগে নিজেদের তথ্যগুলো নির্দিষ্ট বিভাগেরসহায়তা জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে।তবে সরকারি কোনো বিভাগ কিংবা কর্মকর্তা তথ্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলেতাদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ও জানান তিনি।

    তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দুর্নীতি ও দলবাজি সামাজিক ব্যাধি, যা গণতন্ত্রকে দুর্বল করে। তবে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব। কিন্তু তেঁতুল হুজুর ওজঙ্গিবাদের পক্ষে ওকালতি করলে সামাজিক শৃঙ্খলা, অর্থনীতি ও গণতন্ত্র রক্ষা করা যাবে না।সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগণকে সংবিধান অনুযায়ী সমকাতারে নিয়ে আসার জন্য সরকার কাজ করছে।

    সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচিতে শেখ হাসিনা সরকারের সফলতা তুলে ধরেমন্ত্রী বলেন, বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতে ব্যাপক পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করতে শেখ হাসিনা সরকারই প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। নানা বিতর্কের পরও তা সফল হয়েছে।

    তথ্য গোপন একটি অপরাধ উল্লেখ করে ইনু বলেন, তথ্য গোপনের ফলে দুর্নীতি, দলবাজি, স্বজনপ্রীতি বেড়ে যাবে। দুর্নীতি, দলবাজি আর অজ্ঞতার কারণেপ্রান্তজনরা তথ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত বলে দাবি করেন তিনি।

    অভিযোগ পেলে সরকারি কর্মকর্তাকে দল আর মুখ দেখে সাজা মওকুফ করা হবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা তথ্য দিতে বাধ্য। ইতিমধ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে সাজা দেয়া শুরু হয়েছে।
    টেলিভিশন টক শোতে দেশে গণতন্ত্র নেই বলে যেসব ‘বুদ্ধির চর্চাকারীরা’ আলোচনা করেন তাদের কঠোর সমালোচনা করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, বর্তমানে গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে বলে অপরাধ করে কেউ রেহাই পাচ্ছে না।

    পরিশেষে তিনি বলেন, দলবাজি আর দুর্নীতি নিয়ে রাজনৈতিক দল ওকালতি না করলেও জঙ্গিবাদ নিয়ে কতিপয় রাজনৈতিক  দল ওকালতি করছে।