সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নদী যাদুকাটা নদীর জালটেক এলাকায় অর্ধশতাধিক কোয়ারী করে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও অবৈধভাবে বালি,পাথর উত্তোলন করার সময় ৭জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ। কিন্তু এদের মুলহোতারা রয়েছে অধরা।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তের বাদাঘাট ইউনিয়নের যাদুকাটা নদীতে রবিবার ভোর রাতে ও সকালে এই ঘটনা ঘটে।
আটকৃতরা হলো,উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের খোয়াজ আলীর ছেলে আঃ কাহার (২৫),মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে আনোয়ার আলী (৫০),মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে রফিকুল (২৫)তার সহোদর আবিকুল (২০),নুর জামালের ছেলে রবিউল (২৮) ও ঘাগটিয়া টেকেরগাও গ্রামের নুরুজ আলীর ছেলে সুবায়েল (২৫),ফারুক মিয়ার ছেলে আশিক নুর (২২)।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের নির্দেশনা অমান্য করে জালরটেক ঘাটটিয়া এলাকায় রাতে আধারে পাড়া কাটার স্থানীয় গডফাদারদের নেতৃত্বে রবিবার ভোর রাতে সকালে যাদুকাটার পাড় কেটে অবৈধভাবে কোয়ারী করে বালি পাথর উত্তোলন করার সময় তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান,এএসআই মোঃ বিল্লাল হোসেন নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান,বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ অফিসারগন রাতে ও সকালে পৃথক দুটি অভিযানে ৭ জনকে আটক করে তাণার সোর্পদ করে। পর দুপুরে বাদাঘাট পুলিশ ফাড়িঁর এএসআই মোঃ বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ৭জনকেই রোববার বিকালে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,এর পূর্বে একই অপরাধে দু’জনকে আটক করে পুলিশ। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আটক দু’জনকে প াশ হাজার টাকা জরিমানা করেন।