তাহিরপুরে শিশু নির্যাতনকারীর হাতে কৃষকের ফসল রক্ষার দায়িত্ব

    0
    215

    তাহিরপুরে শিশুর আঙ্গুল কর্তনকারী বিতর্কিত সাবেক যুুবলীগ,বর্তমানে কৃষক লীগ আহবায়ক দাবীদার অদুদ পিআইসির সভাপতি!

     
    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের বহুল আলোচিত শিশুর আঙ্গুল কর্তনকারী ও জেলকাটা আসামী সেই বিতর্কিত সাবেক যুুবলীগ সভাপতি, বর্তমানে কৃষক লীগের আহবায়ক অদুদ পিআইসির সভাপতি হয়েছে। আর এই কাজটি করেছেন দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিত সরকার ও একটি আলোচিত সংঘটনের নেতা এমন অভিযোগ স্থানীয়িয়দের।তারা জানান এর কারন অদুদ মিয়া তাদের বিশ্বস্থ ও আস্থাভাজন ব্যক্তি। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে।
    জানা যায়,চলতি অর্থ বছরে তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের মহালিয়া হাওরের উপ-প্রকল্পের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ২০নং-এর সভাপতি মনোনীত করা হয়েছে বিতর্কিত অদুদ মিয়াকে। এই অদুদ মিয়া ২০১৮সালের ১৭ই মার্চ শনিবার বিকেলে সুলেমানপুর গ্রামের শাহানুর মিয়ার ছেলে মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিশু ইয়ামিন গরুর ঘাস কাটার জন্য এলাকার মহালিয়া হাওরে যায়। এ সময় অদুদ মিয়ার দায়িত্বে থাকা মহালিয়া বাঁধের উপর দিয়ে শিশু ইয়ামিন হেটে যাওয়ার কারনে পিআইসি সভাপতি  ও দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি
    অদুদ মিয়া শিশু ইয়ামিনের হাতে থাকা কাছি দিয়ে তার ৩টি আঙ্গুল কেটে দেয়। এ ঘটনায় ইয়ামিনের পিতা বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ সময় যুবলীগ থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়।
    আঙ্গুল কর্তনের ঘটনায় আহত শিশু ইয়ামিন মিয়ার চিকিৎসসহ সার্বিক খোজঁখবর নিয়েছিলেন তৎকালীন শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি,স্থানীয় সাংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন,পুলিশের আইজিপি, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি,সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাম ও সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার বরকতুল্লাহ খান,ওসি শহীদুল্লাহ।
    সেই সময় এই ঘটনা সারাদেশ ব্যাপী ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এর পর বেশ কিছুদিন পালিয়ে থাকলেও শিশুর আঙ্গল কর্তনের মামলায় পুলিশের হাতে ধরা পরে বেশ কিছুদিন জেল হাজতে থাকেন অদুদ মিয়া। বর্তমানে সে জামিনে রয়েছে। এ রকম একজন বিতর্কিত ও জেলফেরত থাকা কান্ডজ্ঞানহীন মানুষকে হাওরের বাধের দায়িত্ব দেওয়ায় পুরো উপজেলা জুড়েই দাবি উঠেছে যে ব্যক্তি (অদুদ মিয়া) সামান্য একটি বিষয় নিয়ে নিষ্পাপ একটি শিশুর ৩টি আঙ্গুল কাছি দিয়ে কেটে দিতে পারে তার দ্বারা হাওরের বাধেঁর কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হতে পারে না।
    তাই কৃষকদের দাবি অদুদ মিয়াকে পিআইসি সভাপতি থেকে বাতিল করে অন্য যে কাউকে বাঁধ নির্মানের দায়িত্ব দেয়া হউক। না হলে আবারও অনাকাংখিত ও বির্তকিত ঘটনা তৈরি করে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষে বিতর্কিত করবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
    এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা কৃষকলীগের সিনিয়র যগ্ম আহবায়ক ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী  খসরু  জানান,অদুদের মত একজন মানুষ যে একটি শিশু জীবন নিয়ে ছিনিমিনি করেছে সে কি ভাবে হাজার হাজার কৃষকের কষ্টের ফলানো  ফসল রক্ষা করবে। তাকে পিআইসি থেকে অব্যাহতির দাবী জানাই। আর অদুদ কৃষক লীগের  কেউ না। বালিজুড়ি ও দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নে কোন কমিটি দেওয়া হয় নি।