তাহিরপুর বালিজুড়ী এলাহীবক্স বিদ্যালয়ে অনিয়মের পাহাড়

    0
    234

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী এলাহী বক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির কথাই যেন শেষ কথা। হউক তা আইন বিরোধী বা সরকার বিরোধী। নিজ ক্ষমতা বলে অনিয়মকেই নিয়মে পরিনত করছেন বর্তমান ম্যানিজিং কমিটি। স্কুলে শিক্ষকগন নিয়মিত আসেন না।

    এছাড়াও বিদ্যালয়ের সকল কাজে রয়েছে নানান অনিয়ম। যার ফলে দিন দিন স্কুলটির সুনাম নষ্ট হচ্ছে। আর এই বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটি গঠন নিয়ে রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরেই এলাকাবাসীর মাঝে দন্ধ। যার জন্য মহামান্য হাইকোর্টের রায় মানতেও রাজি নয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি,সাধারন সম্পাদক ও অন্যান্য সদস্যগন।

    জানা যায়,প্রতি বারেই সরকারী নিয়োগ বিধির বাহিরে অর্থিক অবৈধ বানিজ্য করার চেষ্টা করেছে ম্যানিজিং কমিটি। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাংক ড্রাফট চাওয়া হয় ২হাজার টাকা। শিক্ষক নিয়োগে কোন শিক্ষক সঠিক ভাবে উত্তিন্ন হলেও কমিটির সভাপতিকে অর্থের চাহিদা মেটাতে না পারায় ও কমিটির অনিয়ম না মানায় তাদেন যোগদান করা হয় নি আর যোগদান করলেও বেশী দিন ঠিকতে পারে নি বিদ্যালয়ে।

    এছাড়াও গত কয়েকটি নিয়োগের ক্ষেত্রেও এমনও অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। গত ১৯জুলাই ২০১৮ইং মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞাপন ও আবারও ১হাজার টাকা ব্যাংক ড্রাফট চাওয়া হয়েছে যা নিয়ম বর্হিভূত। এতিমধ্যে কয়েকজন প্রধান শিক্ষক আবেদনকারীর সাথে বিপুল অংকের টাকার রফদফা চলছে বলে জানাযায়।

    একাধিক গোপন সুত্রে ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক আরো জানায়,উপজেলার বালিজুরী এলাহী বক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও তার সহযোগীদের অন্যায় আবদার না মানায় ও নিয়োগ বানিজ্যে সহযোগীতা না করার জন্যই নানান কৌশলে প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমানকে অন্যায় ভাবে জোর করে এক বছর পূর্বে অব্যাহতি দেয়। এরপর প্রধান শিক্ষক হাইকোর্টে একটি রীট মামলা দায়ের করেন।

    এরপর মহামান্য হাইকোর্ট সব কিছু অবগত হবার পর সিদ্দিকুর রহমানকে স্বপদে বহার করার জন্য নির্দেশ দেন ম্যানিজিং কমিটিকে। সেই নিদের্শ নিয়ে বার বার বিদ্যালয়ে গেলেও ফিরিয়ে দিয়েছে তৎকালিন সভাপতি স্থানীয় প্রভাবশালী সভাপতি ও তার সহযোগীরা। বর্তমান প্রভাবশালী ম্যানেজিং কমিটির প্রভাবশালী সভাপতি আবুল খায়ের ও সদস্য গোলেনুর প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিতে জোরালো ভূমিকা পালক করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের সাথে আতাত করে বলে জানাযায়।

    শিক্ষার্থীর অভিবাবক ও এলাকাবাসী জানান,স্কুলের শিক্ষখগন নিয়মিত স্কুলে আসে না ক্লাস হয় না। আর কমিটি শিক্ষক নিয়োগে নিয়ে করছে কয়েক লাখ টাকার গোপন নিয়োগ বানিজ্যে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন আসবাবপত্র,বিদ্যালয় মেরামত,স্কুলের সরকারী বই বিক্রি,গাছ বিক্রিসহ বিভিন্ন কাজের বিল ভাইচারে রয়েছে আকাশ পাতাল ফাড়াঁক। এই বিষয় গুলো নিয়ে একাধিক অভিযোগ লিখিত ভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দিলে ও এই সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন জাতীয় আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় নি।

    অনিয়ম দূর্নীতি বিষয়ে সঠিক ভাবে যাচাই করলেই তার প্রমান পাওয়া যাবে। বালিজুরী এলাহীবক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল খায়ের বলেন,টাকার জন্য শিক্ষক নিয়োগে ১হাজার টাকা ব্যাংক ড্রাফট চাওয়া হয় নি। এমনিতেই চাওয়া হয়েছে। আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি মাত্র আড়াই মাস হয়েছে। আর আমি স্কুলের অতিথের সব কিছু জানিও না। এই ম্যানিজিং কমিটি নিয়ে লাগালাগির কারনে স্কুলটা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এছাড়াও আপনার আরো কিছু জানার থাকলে স্কুলে জানার জন্য আসবেন।

    বালিজুরী এলাহীবক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান জানান,মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল আমাকে স্বপদে বহাল করে স্কুলের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য। কিšুÍ ম্যানিজিং কমিটির অনেতিক আবদার না রাখায় হাইকোর্টের রায় অমান্য করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আমি এখন আবারও মহামান্য হাইকোর্টেই গিয়ে আবার ও বিচার প্রার্থী হব।

    তাহিরপুর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা পুনেন্দ্র দেব জানান,মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ যদি থাকে কোন বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্ব-পদে বহাল থাকবে তা পালন করা ম্যানিজিং কমিটির দায়িত্ব। সেই কাগজ গুলো আমার হাতে নেই। কাগজ গুলো হাতে পেয়ে দেখে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। স্কুলে অনিয়ম হয়ে থাকলে খোজঁ নেব।

    সুনামগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষকা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান,নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৫শত টাকা ব্যাংক ড্রাফট চাওয়া যায়। এক হাজার টাকা ম্যানিজিং কমিটি দিয়েছে তারাই জানে। স্কুলের বিষয়ে ম্যানিজিং কমিটির সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। বালিজুরী আর শক্তিয়ারখলা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় জামেলায় আছি। অনিয়মের বিষয়ে খোজঁ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।