নবীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান দিলাওর হোসেনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

0
164

নূরুজ্জামান ফারুকী,বিশেষ প্রতিনিধি: নবীগঞ্জ উপজেলার ৫ নং আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিলাওর হোসেনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করে সম্পত্তি আত্নসাতের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার সঞ্জবপুর গ্রামের আব্দুল মতিন চৌধুরীর পুত্র এমরান বাহার চৌধুরী বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (কগ-১) আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্যন্য আসামীরা হলেন পারকুল গ্রামের মৃত ইছমত উল্লাহর পুত্র মশাহিদ মিয়া ও মৃত উল্লাহর পুত্র তেরা মিয়া।
মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উল্লেখিত ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি এফআইয়ার গণ্যে মামলা রুজু করতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করেন। আদেশের প্রেক্ষিতে গত ২৯ জুলাই হবিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ উল্লেখিত ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সেলিনা বেগম উল্লা, শাহেলা বেগম উল্লা ও শাবানা বেগম উল্লার পিতা- মৃত ছাইম উল্লা ২০০৪ইং সনের ৭ নভেম্বর যুক্তরাজ্যে মৃত্যুবরন করেছেন। তেরা মিয়া তার অপর সহযোগীদের সহায়তায় জ্বাল জারিয়াতির মাধ্যমে নাদাবী গ্রহীতা হিসেবে স্বাক্ষর করে, মশাহিদ মিয়া এতে স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করে এবং দিলাওর হোসেন শনাক্তকারী হিসেবে স্বাক্ষর করে একটি জ্বাল না-দাবী নামা/অঙ্গীকার নামা সৃজন করে জ্বাল জানা স্বত্তে¡ও খাটি হিসাবে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এর ভুমি অফিস থেকে এলএ কেইসের টাকা উত্তোলন করেন।
আসামীগণ উক্ত না-দাবী নামা/অঙ্গীকার নামা ব্যবহার করে ভূক্তভোগীদের অপরাপর পৈত্রিক সম্পত্তি আতœসাতের আশংকা থাকায় উক্ত জ¦াল না-দাবী নামা উদ্ধার করতে আদালতের সম্মূখীন হয়েছেন ভূক্তভোগীরা।
এর আগে সেলিনা বেগম উল্লা, শাহেলা বেগম উল্লা, শাবানা বেগম উল্লা ও শাবানা বেগমের স্বাক্ষর জাল করে টাকা আতœসাতের ঘটনায় দায়েরকৃত একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে। ওই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান দিলাওর হোসেন, তেরা মিয়া, মোঃ নইম উল্লাহ, মশাহীদ মিয়া ও আউশকান্দি ইউপি মেম্বার সুজন মিয়া কারাভোগ করেন।
উল্লেখ্য যে, ভূয়া না-দাবী নামাগুলোতে ছাইম উল্লা, সেলিমা বেগম ও শাহিনা বেগম এর নাম বিকৃত করে বাংলায় স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে তারা বাংলায় স্বাক্ষর করতে পারেন না এবং এসময় সেলিমা বেগম ও শাহিনা বেগম দেশেও ছিলেন না।