নবীগঞ্জে ২সন্তানসহ এক গৃহবধূর মৃত্যু

    1
    220

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২২মার্চঃমতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জঃ
    হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর ইউনিয়নের বড় ভাকৈর গ্রামের বর্গাচাষি ফরিদ মিয়ার স্ত্রী রুমেনা খাতুন (৩০)কে গাছের সাথে ঝুলন্ত ও তাদের মেয়ে মুসলিমা খাতুন (৯) ও ছেলে মুসা মিয়া (৫) এর লাশ বাড়ির পাশের পুকুর থেকে আজ  সকালে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এনিয়ে এলাকায় ধু¤্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। হত্যা না আত্মহত্যা উৎসুক জনতার মনে একিই প্রশ্ন। রুমেনার পরিবারের দাবি স্বামী হত্যা করেছে।
    এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, গত শনিবার রাতে খাওয়া দাওয়া করে ফরিদ মিয়া ও তার স্ত্রী সন্তানরা অন্যান দিনের মতো ঘুমিয়ে পরেন। রাত অনুমান ২টার দিকে ফরিদ মিয়া দেখেন তার স্ত্রী ও সন্তানরা তার পাশে নেই। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে পাশে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন ফরিদ মিয়া। একপর্যায়ে তিনি বাড়ির পাশে পুকুর পারে একটি জারুল গাছে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার স্ত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। তারপর পাশেই পুকুরে দুই সন্তানের মৃতদেহ পানিতে ভাসতে দেখেন তিনি। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসেন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী ও এএসআই শাহজানান এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে পাঠায়। দুই সন্তানসহ মা‘য়ের মৃত্যু নিয়ে এলাকায় চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
    এদিকে রুমেনার স্বামী ফরিদের দাবি, রুমেনা মানসিকভাবে কিছুটা বিকারগ্রস্থ ছিলেন। রাতে তিনি ঘুমিয়ে পড়ার পর সন্তানদের পুকুরে ফেলে নিজেও আত্মহত্যা করেন বলে দাবী করেন ফরিদ মিয়া।
    অপর দিকে রুমেনার বাবা উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের মামদপুর গ্রামের মাসুক মিয়া দৈনিক বিজয়ের প্রতিধ্বনিকে জানান, দীর্ঘ দিন ধরে তাদের দাম্পত্য কহল চলে আসছিল প্রায় ২মাস আগে দাম্পত্য কহলের জের ধরে রুমেনা ও তার দুই সন্তান নিয়ে তার বাবার বাড়ি আটক ছিল। এর সালিসে মিমাংসার মাধ্যমে স্বামীর বাড়ি আসে। রুমেনার বাবাও তাদের আত্মীয় স্বজনদের দাবী রুমেনার স্বামী ফরিদ মিয়া তাদেরকে হত্যা এই ভাবে করে নাটক তৈরী করেছ।
    এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী জানান, প্রাথমিক ভাবে ধঅরনা করা যাচ্ছে সন্তানদের হত্যার পর রুমেনা আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে জানা যাবে আসল কারণ।