আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩০নভেম্বর,এম ওসমান, বেনাপোল প্রতিনিধি: শার্শা উপজেলার নাভারন ফজিলাতুন্নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজে রাইটস যশোর এর উদ্যোগে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে নারী-শিশু পাচার প্রতিরোধ ও শিশুর অধিকার এর উপর এক কর্মশালা অনুষ্টিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত নারী-শিশু পাচার প্রতিরোধ ও শিশুর অধিকার নিয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
নাভারন ফজিলাতুন্নেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ও শার্শা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আসাদ’র সভাপতিত্বে রাইটস যশোরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার এসএম আজহারুল ইসলাম ও প্রোগ্রাম অফিসার ফিরোজ আলী মানব পাচার সম্পর্কে সাংবাদিকদের সাথে যশোরের সীমান্ত দিয়ে পাচারের বিষয়ে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এবং প্রামান্যচিত্র প্রদর্শণ করে পাচার সম্পর্কে এবং পাচার হওয়া ব্যক্তিরা বিদেশ যেয়ে কি কি কাজ করছে তা ভিডিও প্রদর্শন করেন।
নারী শিশু পাচার প্রতিরোধে আলোচনায় তারা বলেন, আমাদের এখন থেকে সজাগ থাকতে হবে। ধনী গরীব যে কোন পরিবারের সদস্য পাচার হয়ে যেতে পারে। নারী-শিশু পাচার করে এক শ্রেনীর মানুষ বানিজ্য করছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সাধারণত যারা পাচার হচ্ছে এরা যৌন দাসত্ব বরন করছে, জোর পূর্বক শ্রম, বাধ্যতা মুলক আটকিয়ে রেখে তাদের দ্বারা জোর পূর্বক বিভিন্ন কাজ করানো হচ্ছে। এছাড়া দালালরা বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে পাচারের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করছে।
এ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, শার্শা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ইয়ানুর রহমান, বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ কাজিম উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক আজিজুল হক, সাংগাঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান, সাপ্তাহিক গ্রামের সংবাদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আব্দুল মুননাফসহ ৩০ জন সাংবাদিক।
আজহারুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক ভাইরা যেন তাদের লেখনির মাধ্যমে এলাকার সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিদের মধ্যে সচেতনা সৃষ্টি করে। পাশাপাশি মানব পাচারের বিভিন্ন কুফল তুলে ধরে পত্র-পত্রিকায় লেখার মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশু পাচার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের প্রত্যেককে স্ব-স্ব জায়গায় থেকে মানব পাচার বন্ধের জন্য কাজ করতে হবে। এটা মারাতœক অপরাধ। আইন অনুযায়ী পাচারকারীর সর্বোচ্চ মৃত্যদন্ড পর্যন্ত হতে পারে। তিনি বলেন, আপনারা যারা কলম সৈনিক আছেন, তারা যেন তাদের লেখনির মাধ্যমে মানব পাচার রোধে অগ্রনী ভূমিকা রাখেন।