নাসিরনগর ও অষ্টগ্রাম সংযোগস্থলে ১৭৮ কোটি টাকা ব্যায়ে ১ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্যের সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর

0
152

নিজস্ব প্রতিনিধি,আমার সিলেট রিপোর্টঃ ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের মধ্যবর্তী সংযোগস্থল মেঘনা নদীর ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বাঙালপাড়া-চাতলপাড়ে ১৭৮ কোটি টাকা ব্যায়ে ১০০০ হাজার মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুর

নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
সেতুটি নির্মিত হলে পাল্টে যাবে হাওড়াঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। তখন হাওড়ের মানুষ খুব সহজেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারবে স্বল্প সময়ে । এতে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। রোববার (১৪ মে) দুপুরে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার বাঙালপাড়া ইউনিয়নের নোয়াগাঁও এলাকায় কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য,সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি পুত্র, প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এই সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

কিশোরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হারুন-অর-রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক বাচ্চু, নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. রফিউদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসীম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন, অষ্টগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম সামদানী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, সেতুটির এক প্রান্তে কিশোরগঞ্জের হাওড় অধ্যুষিত অষ্টগ্রাম উপজেলার বাঙালপাড়া ইউনিয়নের নোয়াগাঁও এবং অন্য প্রান্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের দুর্গাপুর ও বালিখলা এলাকা। এই সেতুটি নির্মিত হলে কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যে সারাবছর যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এর ফলে হাওড়াঞ্চলের মানুষ খুব সহজেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারবে। ফলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সেতুটি হলে শুধু কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানুষই লাভবান হবে না, সারাদেশে অর্থনীতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তন সাধিত হবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির কিশোরগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম জানান, মেঘনা নদীর ওপর বাঙালপাড়া ও চাতলপাড় এক কিলোমিটারের এই সেতুটি নির্মাণে প্রায় ১৭৮ কোটি ব্যয় হবে। ২০২৫ সালের ২৫ অক্টোবর সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করার কথা রয়েছে। আর সেতুটি নির্মাণকাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন পেয়েছে বলে তিনি জানান।