আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,১৯মে,বেনাপোল প্রতিনিধি: শার্শার যুবলীগ নেতার নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে শার্শা যুবলীগ নেতা আব্দুল হান্নান ওরফে হান্নু।
তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠকালে জানান, গত ১৭ এপ্রিল যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার শেষ পাতায় “শার্শায় সন্ত্রাসীদের হামলায় দুই সাংবাদিক আহত, ৬ লাখ টাকা লুট ও থানায় মামলা সংবাদ শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদ গুলিতে আমাকে জড়িয়ে যে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। দোকানে হামলার ঘটনার সময় ১০নং শার্শা সদর ইউনিয়ন পরিষদের বার্ষিক বাজেট আলোচনায় উপস্থিত ছিলাম ।
এ সময়য় জানতে পারি নাভারন বাজারে মেসার্স ছাত্তার ষ্টোরে হাল খাতার কার্ড দেওয়া নিয়ে দক্ষিনবুরুজ বাগান গ্রামের গোবিন্দ ঘোষের স্ত্রী স্বপনা রানীর (৩৫) সাথে দোকানের মালিক ইসমাইল হোসেন ও তার ছোট ভাই এর সাথে কথা কাটা কাটি হওয়ায় প্রাক্কালে ঐ নারীকে তারা লাি ত করে। এঘটনায় স্বপনা রানীর স্বজনেরা ক্ষিপ্ত হয়ে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। ঘটনাটি শুনা মাত্রই ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষের মধ্যে মিমাংসা করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।
পরবর্তীতে জানতে পারি ইসমাইল হোসেন সহ কয়েক জন আমাকে ও আমার ছোট ভাইকে নিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তি হীন প্রচার চালাচ্ছে যা আমাকে ভাবিয়ে তুলেছিল । গত ১৬ মে রাত ৮টার সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও নাভারণ বাজার কমিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিগনের সম্মুখে মুদি ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন স্বীকার করেন আমার মুদি দোকানে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা লুটের কোন ঘটনা ঘটেনি । যে কারনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও নাভারণ বাজার কমিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিগনের উপস্থিতিতে উক্ত বিষয় টি মিমাংসা হয়ে যায় । কতিপয় সাংবাদিক উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে রং মাখিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে। যা আমার সনমান হানি হয়েছে।
সংবাদটিতে আরো উল্লেখ করেছে, তার দোকানে হালাখাতার ৬লক্ষ ২০হাজার টাকা লুট হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তার দোকানে ১৯মে শুক্রবার হালখাতার দিন ধার্য রয়েছে।
আমার রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করার লক্ষ্যে সাংবাদিকদের নিকট মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। আমি উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তার বক্ত্যব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এলাকাবাসী ও সংখ্যালঘু পরিবারের ঐ নারীর কাছে আপনারা জানলে সত্য ঘটনাটি বেরিয়ে আসবে।