নির্যাতন বন্ধ,স্থায়ী স্ট্যান্ড ও ন্যায্য ভাড়ার দাবি কালেঙ্গা শ্রমিক সংঘের

    0
    218

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১২মার্চঃ বর্তমান বাজারদরের সাথে তাল মিলিয়ে রিকশা ভাড়া পুণঃনির্ধারণ, রিকশা রাখার জন্য স্থায়ী স্ট্যান্ড স্থাপন, চাল,ডাল তেল, লবনসহ নিত্যপ্রয়োজীয় দ্রব্যমূল্য কমানো ও শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ করে বিকল্প ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচলের সুযোগ প্রদানের দাবি জানিয়েছে মৌলভীবাজার জেলা রিকশা শ্রমিক সংঘ।

    গত শুক্রবার রাতে শহরের চৌমুহনাস্থ কার্যালয়ে রিকশা শ্রমিক সংঘের এক সভা থেকে এই দাবি জানানো হয়। সভায় সাম্প্রতিক সময়ে শহরের কুসুমবাগ এলাকায় রিকশা শ্রমিক সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক কিসমত মিয়াকে, হাসপাতালের সামনে সাধারণ সমাপদক মোঃ জসিমউদ্দিনকে শারিরিক ভাবে লাি ত করাসহ শ্রমিকদের উপর জুলুম-অত্যাচার বেড়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় এবং রিকশা শ্রমিকদের উপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করার দাবিতে আগামী ১৩ মার্চ রবিবার জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়র বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। রিকশা শ্রমিক সংঘের জেলা কমিটির সভাপতি সোহেল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অমলেশ শম্ম্র্া।

    সভায় বক্তব্য রাখেন রিকশা শ্রমিক সংঘের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিমউদ্দিন. সাংগঠনিক সম্পাদক কিসমত মিয়া, কালেঙ্গা আ লিক কমিটির সভপতি শাহজাহান আলী, চাদনীঘাট আ লিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, মোঃ মাহমুদুর রহমান, মোঃ আব্দুল্লাহ, আরয়ান মিয়া, দর্জি শ্রমিক সংঘের সভাপতি মো ইসলামউদ্দিন মাস্টার প্রমূখ। সভায় বক্তারা বলেন চাল, আটা, ডাল, তেল, লবন, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতির এসময়ে রিকশা শ্রমিকরা সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের পর যা রোজগার করেন তা দিয়ে রিকশা শ্রমিকরা মানবেতরভাবে জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। ইতিমধ্যে সরকারি কর্মচারি ও মন্ত্রী-এমপিদের বেতন প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হলেও শ্রমিক-কর্মচারি বা শ্রমজীবীদের সংগতিপূর্ণ রোজগারের ব্যবস্থা করা হয়নি।

    এমতবস্থায় বর্তমান দ্রব্যমূল্যের সাথে সংগতিপূর্ণভাবে রিকশা শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণ করা জরুরী। সভায় এক প্রস্তাবে রিকশা শ্রমিক সংঘের ধারবাহিক দাবির প্রেক্ষিতে শহরের শাহমোস্তফা রোড ও কোর্ট রোডের সংযোগস্থলে গোল চত্ত্বর নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়ায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।

    সভা থেকে আরও দাবি করা হয় রিকশা চলাচলের জন্য শহরে বিকল্প লেন তৈরী, শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ করে বিকল্প লেন না করা পর্যন্ত ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচলের সুযোগ দিতে হবে, রিকশা শ্রমিকদের উপর সকল অন্যায় জুলুম-অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধ, যাত্রী ও শ্রমিকদের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত রিকশা স্ট্যান্ড স্থাপন এবং অবৈধভাবে দখলকৃত রিকশা স্ট্যান্ডগুলো দখলমুক্ত করা, রিকশা-ঠেলা-ভ্যান শ্রমিকসহ শ্রমজীবী জনগণের জন্য রেশনিং চালু, শ্রীমঙ্গলে স্থায়ী শ্রম আদালত ও যুগ্ম-শ্রম পরিচালকের কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।