পরকীয়ার অভিযোগে ছেলেই খুন করল মাকে ?

    0
    209

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,১৩মে,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় পর পুরুষের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক থাকায় মাকে খুন করেছে  এক ছেলে । পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাটি স্বীকার করেছে ছেলে ।
    শনিবার সকালে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের মানসীক রোগী জাবিদ উল্লাহ স্ত্রী’র গলা কাটা লাশ বসত ঘর থেকে উদ্ধার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ । এঘটনায় শ্রীমঙ্গল র্যাব-৯ এর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
    স্থানীয়রা জানান, নিহত আমিনা বেগম প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাতে খাওয়া ধাওয়া শেষে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার সকালে আমিনার ছেলে আমির ঘরে গিয়ে দেখতে পায় আমিনা বেগমের মাথার উপড়ে বালিশ দিয়ে চাপা দেয়া। পরে আশে পাশের লোকজনকে খবর দিলে এগিয়ে এসে রক্তাক্ত মরহেদটি দেখতে পায়।
    খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
    জানা যায়, আমেনা বেগমের স্বামীর মানসিক সমস্যা আছে। স্বামী জাবিদ আলী ও তার ছেলে এক ঘরে থাকতেন এবং আমিনা বেগম একাই অন্য ঘরে থাকতেন। এদিকে বিগত কয়েক বছরে ধরে খাস জমি নিয়ে বাউশা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইফুর রহমানের সাথে আমেনা বেগমের (বর্তমান) মামলা চলে আসছিল ।
    আমেনা বেগম কামিরাই গ্রামের জাবিদ উল্লাহ’র স্ত্রী ও পার্শবতী গ্রামের টুনাকন্দি গ্রামের লন্ডন প্রবাসী হাজী মৃত জরিফ উল্লার কন্যা।

    এদিকে এঘটনায় প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদ্য এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করা আমেনা বেগমের ছেলে আমির আহমেদকে (১৭) থানায় নিয়ে যাওয়া হয় । জিজ্ঞাসাবাদে মাকে খুন করেছে বলে জানায় ছেলে ।
    এসময় নির্মম বর্ণনায় ছেলে জানায়, আমেনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে একা ঘরে বসবাস করে আসছেন তার সাথে একজনের সম্পর্ক ছিল বিভিন্ন সময়ে ফোনে কথা বলতে ও দেখতো বলে জানায় সে তারপর পরকীয়ার সত্যতা পাওয়ার পর সহ্য করতে না পেরে মা আমেনা বেগমকে গত শুক্রবার রাত্রে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষুধ খাওয়ায় ছেলে আমির আহমেদ, তারপর রাত্রে চুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
    দুপুরে শ্রীমঙ্গল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়ান-৯ এর এস আই মোহাম্মদ উজ্জল মিয়া নেতৃত্বে একদল র্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে ।
    হবিগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল (নবীগঞ্জ-বাহুবল) রাসেলুর রহমান জানান, ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে প্রাথমিক ভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছে আমেনা বেগমের ছেলে আমির আহমেদ,তার দেয়া তথ্য মতে মোবাইল ফোনে আমেনা কার সাথে কথা বলতো তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে । এদিকে ময়না তদন্তের জন্য আমেনা বেগম লাশ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে ।