পাহাড় ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছেঃনিহত কমপক্ষে-১৩২

    0
    232

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,১৪জুন,ডেস্ক নিউজঃ  গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে শতাধিক হয়েছে।

    এর মধ্যে বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, রাঙামাটিতে সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৫ জন, বান্দরবানে ৬ জন এবং চট্টগ্রামে ২৭ জন মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনো মাটির নিচে অনেকের লাশ চাপা পড়ে আছে। সোমবার মধ্য রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটেছে।

    রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান কন্টোল রুমে সাংবাদিকদের জানান, রাঙ্গামাটি শহরে পাবলিক ৩১ জন, রাঙ্গামাটির মানিকছড়িতে সেনা সদস্য চারজন, কাউখালী উপজেলায় ২১ জন, কাপ্তাই উপজেলায় ১৫ জন, জুরাছড়ি ২ জন ও বিলাইছড়ি ২ জন মারা গেছে। এর মধ্যে শিশু হচ্ছে ১৮ জন, মহিলা ২০ জন পুরুষ ৩৭ জন। এর মধ্যে নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ৩০ জন। রাঙ্গামাটি শহরে দুর্গতদের জন্য ১০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। রাঙ্গামাটি শহরের ১০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে প্রায় হাজারের মতো মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

    এদিকে বুধবার সকালে হেলিকপ্টার যোগে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর রাঙ্গামাটির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।

    অপরদিকে মঙ্গলবার দুপুরে সেনা প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক ও চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারের জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার রাঙ্গামাটির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

    পাহাড় ধসে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে মোট ২৭ জন নিহত হয়েছে। আর মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় পাহাড় ধসে এক শিশুসহ ২৭ জন নিহত হয়। এখনও নিখোঁজ রয়েছে একজন। এর মধ্য রাঙ্গুনিয়েতেই নিহত হয় ১৯ জন।

    এদিকে টানা বর্ষণে বান্দরবানের কালাঘাটা এলাকায় তিনটি স্থানে পাহাড় ধসে পড়েছে। এতে তিন শিশুসহ ৬ জন প্রাণ হারিয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরো ২ জন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন।

    এ ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়।নিয়ম ভেঙে পাহাড় কাটা এবং পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসের কারণে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমেই  এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত হতাহতের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। নিম্নে কয়েক বছরের চিত্রে দেখা যায়-

    # ২০০৭ সালের ১১ জুন চট্টগ্রামের সাতটি স্থানে মাটিচাপায় ১২৭ জনের মৃত্যু হয়

    # ২০০৮ সালের ১৮ অগাস্ট চট্টগ্রামের লালখান বাজার মতিঝর্ণা এলাকায় পাহাড় ধসে চার পরিবারের ১২ জনের মৃত্যু হয়

    # ২০১১ সালের ১ জুলাই চট্টগ্রামের টাইগার পাস এলাকার বাটালি হিলের ঢালে পাহাড় ও প্রতিরক্ষা দেয়াল ধসে ১৭ জনের মৃত্যু হয়

    # ২০১২ সালে ২৬-২৭ জুন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান ও সিলেটে ৯৪ জনের প্রাণহানি ঘটে

    # ২০১৫ সালের ২৬-২৭ জুন টানা বর্ষণ, ধস আর পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারে ১৯ জনের মৃত্যু হয়।