পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিলঃপ্রধানমন্ত্রী

    0
    216

    আমারসিলেট24ডটকম,২০ডিসেম্বরঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পিলখানায় হত্যাকাণ্ড  দেশের একটি কালো অধ্যায়। বিদ্রোহের নামে এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। আমরা ৫৭ জনকে অফিসারকে হারিয়েছি। যাদের হারিয়েছি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাই। আজ শনিবার সকালে পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে একথা বলেন। এ দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিজিবি বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী বাদ ফজর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরসহ বাহিনীর সব ইউনিট মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বিজিবি জওয়ান ও অফিসারদের রাষ্ট্রীয় পদক প্রদান করেন। সকালে ৯টায় পিলখানায় সদর দপ্তরে যান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাকে সশস্ত্র সালাম জানান বিজিবি জওয়ানরা।
    বিজিবি জওয়ানদের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত রক্ষায় সাম্প্রতিক সময়ে অনেক সাফল্য দেখিয়েছেন। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড কমে এসেছে। কাউকে ধরে নিয়ে গেলে বিএসএফের সাথে আলোচনা করে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। বিজিবি জওয়ানদের প্রশিক্ষণে সীমান্ত রক্ষা, নৈতিকতার মতো বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয় বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, বিজিবির সুনাম পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সীমান্ত রক্ষাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতায় বিজিবি জওয়ানরা সাহসী ভূমিকা পালন করছেন। তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চেয়েছিলেন। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা হবে।
    প্রসঙ্গত ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৩ জন নিহত হন। বিদ্রোহের ঘটনায় বাহিনীর নিজস্ব আইনে বিচার হয়েছে। পিলখানা থেকে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের নানা প্রান্তের বিভিন্ন ইউনিটেও, যার অবসান ঘটে ২৭ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর ওই বিদ্রোহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলোড়ন তুলেছিল। বিদ্রোহের ঘটনায় বাহিনীর নিজস্ব আইনে বিচার হয়েছে। রায় হয়েছে প্রচলিত আদালতে পিলখানায় হত্যাকাণ্ডেরও।

    রক্তাক্ত ওই বিদ্রোহের পর সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিডিআরের নাম পরিবর্তন হয়ে বিজিবি হয়, পোশাকেরও পরিবর্তন হয়।