“প্রসঙ্গ সড়ক দুর্ঘটনাঃপ্রবাসি লেখকের প্রস্তাব”

    0
    209

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,১১অক্টোবরঃকিছু দিন পূর্বে একটি মর্মাহত সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ও লন্ডনের কয়েকটি নিউজ পেপারে অত্যন্ত সাদা সিধে চিন্তা পরামর্শ পরিকল্পনা মতামত সম্বলিত আমার একটি আর্টিকেল প্রকাশ হয়েছিল। অত্যন্ত স্বল্প সময়ে ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে  একটি নিউজ পেপারে ২৮৫০০ জন পাঠক লিখাটি পড়েছেন ও পাঠকের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ধন্যবাদ প্রিয় পাঠকদের ! অনেক লম্বা লিখা হওয়ায় অনেকের ধৈর্যচুতি ঘটেছে। কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছেন কয়েকটি পর্বে লিখাটি দিলে পড়তে সুবিধা হত । আমি দুঃখিত এত লম্বা বয়ানের জন্য। আপনারা তো জানেন-ই সব ধরণের মসলা ছাড়া আমরা তরকারি পছন্দ করি না। কথা বলতে গিয়ে  লিখতে গিয়ে ও এর ব্যাতিক্রম নেই। মসলা টসলা লাগাইয়া লিখতে গিয়ে প্রায়ই লম্বা হয়ে যায়।

    গাড়ির গতিবেগ পরীক্ষা করার একটি চিত্র
    গাড়ির গতিবেগ পরীক্ষা করার একটি চিত্র

    আমাকে বাংলাদেশ,মিডিলিস্ট,সিংগাপুর,লন্ডন,আমেরিকা থেকে অনেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ,বলেছেন তারা আমাকে একজন কলামিস্ট হিসেবে দেখতে চান ! যারা বলেছেন তারা হয়ত আমাকে একটু বেশি ভালোবাসেন ! কমপ্লিমেন্ট হচ্ছে ভালোবাসার-ই বহিঃপ্রকাশ। ধন্যবাদ আপনাদের। যা বলতে চাচ্ছি আমি তো ইচ্ছে করলেই আমার নামের পূর্বে কলামিস্ট লিখতে পারি না ? আপনারা কি বলেন, পারি কি ?

    গাড়ির হেলপার তার ওস্তাদকে বলছে ওস্তাদ পিছে যান পিছে যান — ওস্তাদ বলছে কি বলছস পিছনে তো ওয়াল ! হেলপার বলছে লাগলে শব্দ হবে ওস্তাদ। তাই আমি বলছি কলামিস্ট  যখন হবো শব্দ হবে ! কলামিস্ট শব্দটি অতি অর্থবহ। ফেইস বুকে লিখা লেখি করে নিজেই নিজেরে কলামিস্ট দাবি করাটা  কি ঠিক হবে ?
    আমিসহ আমরা সবাই প্রায়-ই ওয়াজ নছিহত করতে পছন্দ করি। ওয়াজ নছিহত থেকে সামান্য কিছু শিখে সমাজ দুনিয়া বদলানো তো দূরের কথা নিজের কল্যাণ মঙ্গল নিহিত বিষয়ে আমরা আমাদের বদ অভ্যাসের কাছে প্রায়ই আপোষ করছি।
    যেমন ধরেন গাড়ি ড্রাইভিং সময়ে মোবাইল ফোনে কথা বলা নিষেধ। দুঃখজনক হলেও সত্যি আমি নিজে এত লম্বা উপদেশ করণীয় সম্বলিত মতামত লিখেছি কিনতু ড্রাইভিংয়ে প্রায়ই ফোনে কথা বলি ! যদি ও আমার গাড়ির মধ্যে লাউড স্পিকার সুবিধা আছে,এর পরেও  গাড়িতে ফোনে কথা বলা ঠিক নয়।
    আমাদের ভবিষ্যত পথচারিদের রাস্তা চলাচল পারাপারে করণীয় শৃঙ্খলা,শিক্ষা,সচেতন সহায়ক হবে এই রকম একটি উদাহরণ দিচ্ছি –
    তিন বছর বয়সে লন্ডনে আমার মেয়ে ইকরা ইসলামকে যখন নার্সারি স্কুলে নিয়ে গেলাম লক্ষ্য করলাম স্কুলের শিক্ষকরা আমার ঐ ছোট মেয়েটিকে তার রুটিন স্টাডির পাশাপাশি -রোড ট্রাফিক, হাইওয়ে সিগন্যাল, গ্রিন লাইট, হলুদ লাইট, রেড লাইট, স্পিড রাস্তা পারাপারে ট্রাফিক নিয়ম নীতি সম্পর্কে জ্ঞান দিচ্ছেন –আমি মনে মনে ভাবছিলাম -বড় হয়ে আমার মেয়ে ট্রাফিক অফিসার হবে নাকি? কচি বয়সে তাকে রোড ট্রাফিক নিয়ে এতো জ্ঞান দেয়া হচ্ছে কেন? দেরিতে হলেও আমার মধ্যে ঐ প্রশ্নের উপলব্ধি বোধ  হয়েছে। ছোট বয়সে আমাদের যা শিখানো হয় তা আমরা মনোযোগ দিয়ে শুনি শিখি, অভ্যাসে পরিণত করি যা আমাদের ব্যক্তি জীবনে সামাজিক জীবনে পারিবারিক জীবনে কাজে লাগে।
    আমাদের দেশে স্কুল পর্যায়ে পাঠ্যসূচির মধ্যে এই বিষয়টি অন্তর্ভূক্তকরন কোনো রকেট সাইন্স বলে আমি মনে করি না। এক্সট্রা কোনো বাজেটেরও প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন শুধু বোধশক্তি দিয়ে বিষয়টি পাঠ্যবইয়ে সংযোজন করা  যা অত্যন্ত জরুরি। ঐ জায়গা থেকেই শুরু করতে হবে। দেরিতে হলেও আমাদের বাচ্চাদের মধ্যে যদি একটু স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয় তাহলে পরিবারের অন্যদেরও তারা সাহায্য করতে পারে রোড ট্রাফিক রাস্তা পারাপার আইন-কানুন সম্পর্কে। দেশের মানুষের হাঁটাচলা রাস্তা পারাপার দেখলে মনে হয় তারা একটা ভাব নিয়েই রাস্তা পারাপার করছে এক্সিডেন্ট হলে হবে, তাতে কি?
    সড়ক দুর্ঘটনা কি ভাবে একটি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা যায় আমার সহজ সরল পরিকল্পনাঃ
    উদাহরণ স্বরুপ ধরেন মৌলিভিবাজার জেলাকে আমরা সড়ক দুর্ঘটনা রোধে একটি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে চাই।
    দ্রুতগামী চলার কারনে চালকের সাথে এভাবে কথা বলছেন একজন ট্রাফিক পুলিশ।
    দ্রুতগামী চলার কারনে চালকের সাথে এভাবে কথা বলছেন একজন ট্রাফিক পুলিশ।

    প্রধান টিম :

    বি আর টি সি মৌলভীবাজার , জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজার , জেলা পুলিশ সুপার মৌলভীবাজার , ট্রাফিক পুলিশ প্রধান মৌলভীবাজার।
    এলাকা :
    মৌলভীবাজার জেলার ৬ টি উপজিলা
    একটি ওয়েব সিস্টেমে যা থাকবে :
     
    বি টি আর সি কর্তক একটি ওয়েব ডাটা বেইজের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে জেলার সকল ড্রাইভার গাড়ি ও মালিকদের । ঐ সিস্টেমে থাকবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ধরণ, গাড়ি,গাড়ির মালিক,ড্রাইভার, ড্রাইভিং লাইসেন্সের ডাটা বেইজ । বি টি আর সি ডিপার্টমেন্ট দেখা শুনা করবে ড্রাইভার গাড়ি গাড়ির মালিকের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা পাশ করার পর ড্রাইভারদের লাইসেন্স দিবে বি টি আর সি কর্তকপক্ষ।  বি টি আর সি কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্ট  অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের লাইসেন্সকে বাতিল করবে । ড্রাইভার গাড়ি;গাড়ির মালিক ও বি আর টির মধ্যে এমন বিষয় যা সুরাহা হবেনা, তা মীমাংসা হবে দেশের প্রচিলিত ট্রান্সপোর্ট আইনে। লাইসেন্স নবায়ন,গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট সব কিছুর ইনচার্জ বি টি আর সি কর্তপক্ষ। যা কিছু পরিবর্তন সংযোজন  বিযোজন হবে তা হবে তাদের ঐ ইউনিক সিস্টেমের মধ্যে থেকেই। বি টি আর সির উপর কারো কর্তৃত্ব মাতব্বরি চলবে না।
    কিভাবে ড্রাইভার ও মালিকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা যায়:
     
    চালকরাই যেহেতু সড়ক দুর্ঘটনায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দায়ী তাই তাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জেলা পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশকে পরীক্ষামূলক ভাবে স্পীড ডিটেক্টর সরবরাহ করা যেতে পারে। স্পীড ডিটেক্টর সম্পর্কে আমাদের দেশে এখনও অনেকের ধারণা নেই। এটা দেখতে অনেকটা মুভি ক্যামেরার মতো। একজন পুলিশ সদস্য কোনো গাছের আড়ালে দাড়িয়ে গাড়ির গতি স্পীড ডিটেক্টর এর মাধ্যমে সনাক্ত করে। আগে থেকে নির্ধারিত দূরত্বে অবস্থানকারী টিমকে ওয়াকিটকির মাধ্যমে অবহিত করে সেই গাড়ির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দিলে চালক গাড়ি চালানোর সময় সতর্ক থাকবে। সে বুঝতে ও পারবে না কোথায়  থেকে তার গাড়ির গতি সনাক্ত করা হয়েছে। তখন প্রত্যেক চালক মনে করবে অতিরিক্ত গতি বা বেপরোয়া চালানোর কারণে যে কোনো সময় মহাসড়কে তার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। যেহেতু চালকের কারণে এই মামলা হবে তাই এর জরিমানা চালককেই বহন করতে হবে। জরিমানা দেওয়ার ফলে ঐ চালক পরবর্তীতে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালাবে না। এই টিমের সঙ্গে একজন ম্যাজিষ্ট্রেটও থাকতে পারে।
    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রতি জেলায় একটি টিম হলেই চলে। আবার ও  বলতে চাই যা পূর্বে বলেছি এই সিম্পল কাজটি শুরু করতে হলে গাড়ির ড্রাইভার, লাইসেন্ , গাড়ির মালিক ও গাড়িটির ঐ ইউনিক ওয়েব ডাটা বেইস থাকতে হবে অর্থাৎ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন খুঁজলে ড্রাইভার মালিকের ঠিকানা চলে আসবে।যা উদাহরণ স্বরূপ কাল্পনিক ভাবে আমরা মৌলভীবাজারে করে নিয়েছি। এখন ড্রাইভার মালিক গাড়ি ও তাদের ঠিকানা আমাদের সিস্টেমে আছে। শুধু দরকার একশন। ড্রাইভার ও  গাড়ি মালিক মৌলভীবাজারের যে থানার -ই বাসিন্দা হোক না কেন তাদের দ্বারা সম্পাদিত অপরাধটি সেখানেই হস্তান্তর হবে যা ঐ এলাকার লোকাল পুলিশ অথবা ট্রান্সপোর্ট পুলিশ খতিয়ে দেখবে। জেলা পর্যায়ে ও এর সুরাহা সম্ভব। যতক্ষণ না পর্যন্ত বিষয়টি সুরাহ হচ্ছে -গাড়ি এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকবে পুলিশ স্টেশনে ।
    মহাসড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনার জন্য জেলায় কম পক্ষে ২/৩টি টিম থাকতে পারে। তার সার্বিক দায়িত্বে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার উভয়ই যদি হাইওয়েতে নিয়োজিত টিম গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ সুপারভিশন করেন তাদের দিক নির্দেশনা দেয় তাহলে তাদের কাজের গতি বাড়বে এবং মহাসড়ক সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে। এই পুলিশ টিমের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাদের পুলিশ সুপার কর্তৃক বাছাই করে স্মার্ট ইন্টিলিজেন্ট সৎ এবং পজিটিভ মনের অধিকারী সদস্যদের এই কাজে অন্তর্ভূক্ত করতে পারলে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
    উল্লেখিত ব্যবস্থা গুলো চিন্তায় এনে কাজ শুরু করা গেলে সড়ক নিরাপত্তায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আস্তে পারে ।
    আপনারা হয়ত ভাবছেন বিদেশি আইন-কানুন বাংলাদেশে ইমপ্লিমেন্ট কি সম্ভব ।  নিয়ন নীতি শৃংখলা আইনের মধ্যে দেশি বিদেশি কিছুই নেই। যা প্রয়োগ করলে বা যে প্রক্রিয়া শুরু করলে সড়ক দুর্ঘটনা নামক এই ভয়ংকর মহামারি থেকে আপনি আমি আপনার প্রতিবেশী রক্ষা পাবে সেটাই আমরা চাই,সেটা করা উচিৎ।
    আমার বিশ্বাস সারাদেশে মহাসড়কে যদি একযোগে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থান পরিবর্তন করে স্পীড ডিটেক্টর দ্বারা গাড়ির গতি সনাক্ত করে নগদ জরিমানা আদায় চলতে থাকে। জরিমানা অনাদায়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স সিজ গাড়ির মালিক ড্রাইভার প্রয়োজনে লোকাল পুলিশ স্টেশনে শোকজ করে তা হলেই মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই মহাসড়কে গাড়ি চালানাের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
    দুইটি উদাহরণ দিয়ে শেষে করতে চাই :
    ১, আপনাদের হয়ত নিশ্চয় মনে আছে কেয়ারটেকার গভর্মেন্ট ফখরুদ্দীন আহমেদ এর কথা। আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাদের ঐ কার্যক্রমকে সাপোর্ট করি না। কিন্তু লক্ষ্য করেছিলাম তাদের আমলে কিছু দিনের জন্য হলেও দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ জন্মেছিল।
    ২, আমি যখন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিলাম স্কুলে আমাদের ভূগোল ক্লাস নিতেন আমার প্রিয় শিক্ষক আজমল খাঁন স্যার। আমাদের প্রতিদিনের পড়া আদায়ের ব্যাপারে তিনি অনেকটা জিহাদ ঘোষণা করলেন যে উনার দেওয়া পড়া যারা আদায় করতে অক্ষম তাদের কপালে ২৫থেকে ৩০ টি  বেত্রাঘাত ,বেতের বাড়ি। কি যে কষ্ট ছিল ছোট ছোট হাতে এখনো মনে পড়ে সেই কস্টকর স্মৃতি । আমি সহ আমাদের বন্ধুদের মধ্যে এই ভীতি ছিল  ভয়াৱহ আর এর জন্য তিনির পাঠদান কৃত বিষয় ভূগোল ছিল পড়া শুনার তালিকায় প্রথম। As a result  আমি কিন্তু আমার ফাইনাল পরীক্ষায় ভূগোলে ৮৮ মার্কস পেয়েছিলাম।  যা বলতে চাচ্ছি বাংলাদেশে ডান্ডা গরম হলে সবই ঠিক হয়। যেমনটি ছিল ফখরুদ্দীন আহমেদ এর আমলে।
    ভালো মানুষেরও প্রয়োজন যাদের মধ্যে আছে দেশ প্রেম আর ঐএই ধরনের অফিসারদের দ্বারাই এই কঠিন কাজটি শুরু করা সম্ভব হবে বলে আমারা মনে করি।
    সবাইকে এক সাতে আইনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব নয়। যাদের আইনের আওতায় নিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব সঠিক বিচারের মাধ্যমে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে যা হবে সবার জন্য হবে অনুকরণীয় শিক্ষনীয়।
    প্রিয় পাঠক শেষ করতে হবে, আমার এ পরিকল্পনা অনেকটা আবেগি গল্পের মত। একটি জেলাকে দিয়ে এই প্রক্রিয়া সম্ভব নয় সমগ্র দেশে। একটি ইউনিক আইন কানুনের মাধ্যমে এই কাজটি করতে হবে দেশ জুড়ে। আলোচনার সুবিধার্থে শুধু একটি জেলায় কিভাবে আমরা এ কাজটি শুরু করতে পারি তার একটি কাল্পনিক রূপরেখা,ধন্যবাদ।
    লেখকঃনজরুল ইসলাম,ওয়ার্কিং ফর ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস, লন্ডন। মেম্বার, দি ন্যাশনাল অটিষ্টিক সোসাইটি ইউনাটেড কিংডম। আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ঢাকা  বাংলাদেশ।