বকশিবাজারে সংঘর্ষঃকাল বিএনপির বিক্ষোভ

    0
    201

    আমারসিলেট24ডটকম,২৪ডিসেম্বরঃ বকশিবাজারের সরকারী আলিয়া মাদরাসা মাঠে দুর্নীতি দমন কমিশনের দুটি মামলায় হাজিরা দিতে যান খালেদা জিয়া। তবে তার আদালতে হাজির হওয়ার আগেই রাজধানীর বকশিবাজারে ছাত্রলীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    আজ বুধবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে খালেদা জিয়া আদালতের উদ্দেশে রওনা হন। এর আগেই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীরা বকশিবাজারের আশপাশের সড়কে অবস্থান নেন। আর সকাল থেকেই ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

    প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকা মেডিকেল মোড়ে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী ‘জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ইট পাটকেল ছুঁড়ে মারে। বিএনপি কর্মীরাও পাল্টা হামলা করে। প্রথমে পুলিশ নীরব থাকলেও এক পর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় বিএনপি কর্মীরাও পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে তারা আশপাশের দোকানের সামনে রাখা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ সংষর্ঘ চলার পর বিএনপি কর্মীরা চাঁনখারপুলের দিকে চলে যায়। কিছু নেতাকর্মী মেডিকেলের মধ্যে অবস্থান নেন। আর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বুয়েট এলাকায় অবস্থান নেয়।

    বেলা ১২টা ২০ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর আদালতের দিকে এগিয়ে এলে নেতাকর্মীরাও তার সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল মোড় পর্যন্ত অগ্রসর হয়। পরে পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা আবার পিছু হটে। সাড়ে ১২টার দিকে খালেদা জিয়া আদালতে পৌঁছান।

    অপরদিকে বিএনপি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশের জেলা শহর ও ঢাকা মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা ও ৬ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হওয়ার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

    এদিকে গাজীপুরের জনসভা সম্পর্কে ফখরুল বলেন, গাজীপুরে আমরা জনসভা করার অনুমতি পেয়েছি। ছাত্রলীগ অন্যায়ভাবে গতকাল রাতে জনসভা স্থলে আক্রমণ চালায়। মঞ্চ তৈরির কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের মারধর করে। ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী গতকাল কারা দিবস উপলক্ষে গাজীপুর যান। তিনি সেখান থেকে ফিরে আসার পর থেকে এ তাণ্ডব শুরু হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই কি গণতন্ত্রবিরোধী এ কার্যকলাপ শুরু হলো?

    তিনি বলেন, গাজীপুরের জনসভা যথাসময়েই হবে।