আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২২এপ্রিল: দুরন্ত শুরুর পর পথ হারানোর দৃশ্যটা মিরপুরের দর্শকদের চেনা দৃশ্য। অতীতের মতো সেই দৃশ্য মঞ্চায়নের দলটা বাংলাদেশ নয় বলে এ যাত্রা স্বস্তিতে ছিলেন দর্শকরা। এবার ব্যাট হাতে সেই অনভিজ্ঞতার রুপটা দেখিয়েছে পাকিস্তান। আর বল হাতে সাফল্যের ঝান্ডা ছিল টাইগারদের হাতে। ওপেনারদের ব্যাটে তিনশো রানের সম্ভাবনা জাগানো পাকিস্তান ৪৯ ওভারে ২৫০ রানে অলআউট হয়। বাংলাওয়াশের দশম পর্বটা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৫১ রান।
ব্যাটিংয়ে খেই হারিয়ে ফেলার পূর্ণাঙ্গ চিত্রই দেখিয়েছে পাকিস্তান। ৩৮ ওভারেই দুশো পার হয় পাকিস্তান। স্কোরটা ছিল ২ উইকেটে ২১২। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’র শেষ দুই ওভারে সেট ব্যাটসম্যান আজহার আলী ও হারিস সোহেল আউট হলে উল্টে যায় দৃশ্যপট। ২০৭ রানে হারিস আউট হন চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে। এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে নাম লেখান পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। লেজ-গোবরে ব্যাটিং উপহার দিয়ে ৪৩ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় সফরকারীরা। সাকিব, রুবেল, মাশরাফি, আরাফাত সানিদের বোলিং তোপে একটা সময় তিনশোর হাতছানি দেখা দেওয়া পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে গেল প্রত্যাশাতীতভাবেই।
তবে দিনটা পাকিস্তানের জন্য স্মরণীয় ছিল। কারণ বুধবার প্রায় পাঁচ বছর পর পাকিস্তানের কোনো ওয়ানডে অধিনায়ক সেঞ্চুরি করলেন। আজহার আলী ১০১ রান করেন। যা তার ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। সর্বশেষ ওয়ানডেতে কোনো পাকিস্তান অধিনায়কের সেঞ্চুরি হয়েছিল ২০১০ সালে। কাকতলীয়ভাবে সেবার শহীদ আফ্রিদি সেঞ্চুরি করেছিলেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ২০১০ সালের এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় ওই সেঞ্চুরি করেছিলেন আফ্রিদি।
ওপেনিং জুটিতে ৯১ রান তুলেছিল পাকিস্তান। ইনিংসের ১৮তম ওভারে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন নাসির হোসেন। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে নাসিরের বলে কট বিহাইন্ড হন অভিষিক্ত সামি আসলাম। উইকেটে এসে অস্বস্তিতে থাকা হাফিজ (৪) বোল্ড হন আরাফাত সানির বলে। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়কের সঙ্গে জুটি বাঁধেন হারিস সোহেল। তাদের জুটি ৯৮ রান যোগ করে। বড় স্কোরটা তখন দৃষ্টিসীমায় ছিল ভালোভাবেই। আজহার হাফ সেঞ্চুরি করেন ৬২ বলে। তার সেঞ্চুরি আসে ১১১ বলে। সেঞ্চুরি করার পরের বলেই আউট হয়েছেন তিনি। সাকিবের বোল্ড হওয়ার আগে ১১২ বলে ১০টি চারে ১০১ রান করেন আজহার।
পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরির পর হারিস সোহেলও স্থায়ী হননি। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে ৫২ রান করে মাশরাফির শিকার হন এই তরুণ। পরে রিজওয়ান কট এন্ড বোল্ড করেন সাকিব। মাশরাফির বলে ডিপ স্কয়ার লেগে নাসিরের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরেন ফাওয়াদ আলম। সাদ নাসিম, ওয়াহাব রিয়াজ রুবেলের শিকার হন। উমর গুল রান আউট হন। সাদ নাসিমের ২২ রানে আড়াইশোর চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় পাকিস্তান। জুনায়েদ খানকে বোল্ড করে পাকিস্তানের ইনিংসের লেজটা মুড়ে দেন আরাফাত সানি। বাংলাদেশের মাশরাফি, সাকিব, রুবেল, আরাফাত ২টি করে উইকেট নেন।