বাংলাদেশে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

    0
    192

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৩মার্চঃ বাংলাদেশে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত একজন রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি ৬৭ বছর বয়সী একজন প্রবীণ। তিনি চট্টগ্রামের বাসিন্দা। তবে গোপনীয়তার স্বার্থে তার নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

    মঙ্গলবার সচিবালয়ে ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি’ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে দেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়ার এ খবর জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক।

    তিনি বলেন, ২০১৪ সালে সংগ্রহ করা রক্তের নমুনায় জিকা ভাইরাস পাওয়া গেছে। আক্রান্ত ব্যক্তি চট্টগ্রামের বাসিন্দা। তার বয়স ৬৭ বছর। তবে তিনি ভালো আছেন। তার পরিবারের লোকজনও ভালো আছেন।

    উল্লেখ্য, এডিস এজিপ্টি মশার মাধ্যমে জিকা ভাইরাস সংক্রমিত হয়। পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডার জিকা নামক বনাঞ্চলে ১৯৪৭ সালে প্রথম এ ভাইরাসের সন্ধান মেলায় এর নাম রাখা হয় জিকা ভাইরাস।

    ১৯৫৪ সালে নাইজেরিয়ায় প্রথম মানবদেহে জিকা ভাইরাস সংক্রমণের তথ্য পাওয়া যায়। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ দেশগুলোতে। ২০১৫ সালে ব্রাজিলে নতুন করে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়ার পর মাত্র চার মাসের মধ্যে দক্ষিণ ও উত্তর আমেরিকায় এটি ছড়িয়ে পড়ে।

    বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গর্ভবতী মা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার অনাগত শিশুর মাথা স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হতে পারে, মস্তিষ্কের গঠন থাকতে পারে অপূর্ণ। এ রোগকে বলে মাইক্রোসেফালি।

    জিকা ভাইরাসে সচরাচর মৃত্যুর ঘটনা দেখা যায় না। এর লক্ষণও সবসময় স্পষ্ট থাকে না। এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বা ওষুধ নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম ও বেশি করে তরল খাবার খেতে পরামর্শ দেয়া হয়। এদিকে মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে দেশের বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রক) অধ্যাপক ড. একে এম শামসুজ্জামান। তিনি জানান, ২০১৫ সালের গবেষণা থেকে দেখা যায় ঢাকায় ডেঙ্গু প্রাদর্ভাবের হার ৩৩ শতাংশ, চট্টগামে ২৩ শতাংশ এবং খুলনায় ৯ শতাংশ।