বাস্তব কথা কঠোরই হয়ঃপ্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আদালতের নজরে

    0
    274

    আমারসিলেট24ডটকম,০১জুনঃ গতকাল শনিবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার দেয়া বক্তব্য আদালতের নজরে এনেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনায় চাকরিচ্যুত তিন র্যাব কর্মকর্তাকে গ্রেফতার সম্পর্কিত হাইকোর্টের আদেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য হাইকোর্টের নজরে আনা হয়েছে। বিষয়টি আদালত গ্রহণ করে দেখবো বলে জানিয়েছেন।
    আজ রোববার সকালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তামজিদা মিলা ইংরেজি দৈনিক দ্যা ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন।বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এটা আনা হয়। আদালত প্রতিবেদনটি নিয়ে বলেছেন, আমরা দেখছি, দেখবো।
    আইনজীবী তামজিদা মিলা জানিয়েছেন, একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যদি আদালতকে নিয়ে এভাবে কথা বলেন তাহলে সাধারণ মানুষ আদালতকে ভয় পাবে না।এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছে।  আমি বিষয়টি আদালতের নজরে এনেছি। এখন আদালত এখন যা করার করবেন। আমার দায় বদ্ধতা থেকে আমি আদালতকে দেখিয়েছি।
    গত কাল শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে চলতে চলতে এটা একটা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। চট করেবন্ধ করা সম্ভব না।” নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার পর র্যা ব বিলুপ্তির দাবি তোলেন বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া। এ বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাব দেয়ার সময় তদন্ত চলাকলে তিনজন র্যা ব কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করতে উচ্চ আদালতের আদেশ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন সরকার প্রধান।
    জানা যায়, গতকাল শনিবার বিকেলে গণভবনে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় সোয়া ঘণ্টা লিখিত বক্তব্য এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এ সময় তিনি জাপান সফরের অর্জন, ভারতের সঙ্গেসম্পর্ক, আসন্ন চীন সফর, বিদেশি বন্ধুদের দেওয়া ক্রেস্টে সোনা কম থাকা, র‌্যাব বিলুপ্তির প্রসঙ্গ, নারায়ণগঞ্জ ও ফেনীর নৃশংস ঘটনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন।
    নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপে বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, র‌্যাবের তিন কর্মকর্তাকে আদালত গ্রেপ্তারের নির্দেশ কেন দিলেন, এটা তার বোধগম্য নয়। জজ সাহেবদের কাছে তথ্য-প্রমাণ চাওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেঞ্চই এখন ব্যবস্থা নিক। তিনি বলেন, তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে যখন সুষ্ঠুভাবে তদন্ত চলছিল, তখন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের এমন নির্দেশ সমস্যা সৃষ্টি করেছে। এ কথা বলায় আদালত অবমাননা হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তদন্ত চলাকালে আদালত এমন নির্দেশ দিলে সিভিল প্রশাসনের কী করণীয় থাকে? আমরা যখন এক পা এগোই, তখন তারা দুই পা পিছিয়ে দেয়। তাদের (র‌্যাবকর্মকর্তা) চাকরি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। তদন্ত হবে। সেখানে প্রমাণ হওয়ার আগেই হাইকোর্টের বেঞ্চ কীভাবে তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন? আমার এ কথা কোর্ট কনডেম  করতে পারে। “আমার কথা কঠোর হয়ে যাচ্ছে? বাস্তব কথা কঠোরই হয়,”  বলেন  প্রধানমন্ত্রী ।