ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কমলগঞ্জের শিশু ফাহিম বাঁচতে চায়

    0
    242

    কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃসাত বছরের ফুটফুটে শিশু ফাহিম। মায়াবী চাহনি আর ফুটফুটে চেহারা দেখে কেউ বুঝতেও পারবে না তার শরীরে বাসা বেঁধেছে মরন ব্যাধি ব্লাড ক্যান্সার। যে বয়সে মায়ের কোলে বসে গল্প শোনার কথা সে বয়সে হাসপাতালের বেডে শুয়ে মায়ের কাছে জীবন মৃত্যুর পার্থক্য জানতে চায় শিশুটি। মায়ের মমতাময় হাতের স্পর্শে বার বার খুঁজছে বেঁচে থাকার মানে।

    বছর দুয়েক হল স্কুলে যাওয়া শুরু করেছিল ফাহিম। পড়াশুনা করে মা বাবার মুখে হাসি ফোটাবে সে। ছোট্ট জীবনে তার স্বপ্ন এটুকুই। কিন্তুু আশার মাঝে নিরাশা হয়ে স্বপ্নটি থমকে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বেডে। সেখানে প্রহর গুনছে আবার স্কুলে যাবার। ছলছল নয়নে এদিক ওদিক তাকিয়ে বার বার প্রত্যাশা করছে বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো ধুলোমাখা মাঠে ফিরে যাবার।

    মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য টিপু সুলতান। অবসর গ্রহণের পর স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে স্বাচ্ছন্দে দিন কাটাচ্ছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালে হঠাৎ করে দ্বিতীয় সন্তান ফাহিম দুরারোগ্য ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে তার সোনার সংসারের সলিল সমাধি ঘটে। দীর্ঘ দুই বছর যাবত হতভাগা ফাহিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যান্সার রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ খসরুর তক্তাবধানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে যাবতীয় পেনশনের টাকা শেষ করে আজ তিনি ঋণ গ্রস্থ হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

    তিনি বলেন,টাকার অভাবে আমি আমার সন্তানকে সুচিকিৎসা করাতে পারছি না। আজ আমি পিতা হিসেবে ব্যর্থ। সন্তানের মুখের দিকে তাকালে নিজেকে কতটা অসহায় লাগে তা আজ আমি হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছি। তাই আজ আমি অসহায় এক সন্তানের পিতা হিসেবে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে,যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমীপে আরজি করছি যে, আপনি আমার হতভাগা সন্তানের চিকিৎসা প্রদানে মানবিক সহায়তা প্রদান করে আমি এক দুঃখী পিতাকে উপকৃত করবেন বলে আশা রাখছি।