মানুষের জানমালের ক্ষতি করা বন্ধ করুনঃপ্রধানমন্ত্রী

    0
    392

    আমারসিলেট24ডটকম,০৫জানুয়ারীঃ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ক্ষমতা গ্রহণ করে দেশকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যাওয়ার বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে। ১০ম জাতীয় সংসদ ও বর্তমান মহাজোট সরকারের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ সোমবার সন্ধ্যায় বেতার ও টেলিভিশনের মধ্যেমে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় শুরু করে তিনি ৭টা ৪০ মিনিটে আবারও জাতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার সংক্ষিপ্ত ভাষণ শেষ করেন।

    ভাষণের শুরুতেই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় ৪ নেতার অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নিহতদের ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় প্রাণ হারানো বেগম আইভি রহমানসহ বিএনপি ও জঙ্গীদের হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

    একই সাথে তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত জোটের তান্ডবে হতাহতদের প্রতিও সমবেদনা জানান।
    শেখ হাসিনা বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে বিএনপি-জামাত জোট সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারা শত শত গাড়িতে আগুন দিয়েছে এবং ভাংচুর করেছে হাজার হাজার গাড়ি। মহাসড়কসহ গ্রামের রাস্তার দু’পাশের হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলেছে। পুলিশ-বিজিবি-আনসার-সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ জন সদস্যকে হত্যা করেছে। তাদের সহিংস হামলা, পেট্রোল বোমা, অগ্নিসংযোগ ও বোমা হামলায়  নিহত হয়েছে শত শত নিরীহ মানুষ। সরকারি অফিস, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফুটপাতের দোকান এমনকি নিরীহ পশুও তাদের জিঘাংসার হাত থেকে রেহাই পায়নি।
    নাশকতার পথ পরিহার করে বিএনপি নেত্রীকে খালেদা জিয়াকে শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নাশকতার পথ পরিহার করে শান্তির পথে আসুন। দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কী কী করতে চান তা মানুষকে জানান। নিজের দলকে গড়ে তুলুন। তাহলেই হয়ত ভবিষ্যতে সম্ভাবনা থাকবে। যে পথে আপনি চলছেন তা জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে না। বরং মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা আরও হারাবেন। মানুষ নিরাপত্তা চায়, শান্তি চায়, উন্নতি চায়।
    শেখ হাসিনা বলেন, আমরা অশুভ রাজনীতির বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। যে রাজনীতি দেশের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য সেই রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তিনি বলেন, আমাদের সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আবারও অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধী, গণহত্যাকারী, রাজাকার-আলবদরদের বিচারের কাজ এগিয়ে চলছে। রায় কার্যকর করা হয়েছে।

    ইনশাআল্লাহ আমরা সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন করব। এই বিচার বানচাল করতে, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে অন্ধকারের অপশক্তি যারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না, জনগণের মঙ্গল চায় না তারা আবারও ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তারের চেষ্টা করছে ।
    গত নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেয়াটা রাজনৈতিক ভূল ছিল উল্লেখ করে মহাজোট নেতা বলেন, বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেয়াটা ছিল একটি রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত। তাদের এই রাজনৈতিক ভুলের খেসারত কেন জনগণকে দিতে হবে? বিএনপি নেত্রীকে আমি আহবান জানাচ্ছি- নাশকতা, মানুষ হত্যা, বোমা-গ্রেনেড হামলা, অগ্নিসংযোগ, জানমালের ক্ষতি করা বন্ধ করুন।

    তিনি বলেন, আপনার ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে আজ আপনি ও আপনার দল সংসদে নেই। আপনি কাকে দোষ দেবেন?
    সংসদ নেতা বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে বিএনপি-জামাত জোট সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারা শত শত গাড়িতে আগুন দিয়েছে এবং ভাংচুর করেছে হাজার হাজার গাড়ি। তিনি বলেন, মহাসড়কসহ গ্রামের রাস্তার দু’পাশের হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলেছে। পুলিশ-বিজিবি-আনসার-সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ জন সদস্যকে হত্যা করেছে।  তাদের সহিংস হামলা, পেট্রোল বোমা, অগ্নিসংযোগ ও বোমা হামলায়  নিহত হয়েছে শত শত নিরীহ মানুষ।
    শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি অফিস, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফুটপাতের দোকান এমনকি নিরীহ পশুও তাদের জিঘাংসার হাত থেকে রেহাই পায়নি। রেহাই পায়নি মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম-এর সামনে হাজার হাজার পবিত্র কোরান শরীফ পুড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, “ট্রেনের লাইন উপড়ে ফেলে এবং ফিসপ্লেট খুলে শতশত বগি এবং রেলইঞ্জিন ধ্বংস করেছে।

    নির্বাচনের দিন ৫৮২টি স্কুলে আগুন দিয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসারসহ ২৬ জনকে হত্যা করেছে। নির্বাচনের পর সংখ্যালঘু এবং আওয়ামী লীগ সর্মথকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে, আগুন দিয়েছে।
    সংলাপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে আমরা সংলাপে বসার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। সংবিধানের আওতায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা সব ধরণের ছাড় দিতে চেয়েছিলাম। নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রীসভা গঠনের জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে অনির্বাচিত সরকারের কোন ব্যবস্থা নেই।

    আমাদের শুধু একটাই দাবী ছিল, সংবিধানের মধ্য থেকে আমরা নির্বাচন করতে চাই। সেখানে যত ধরণের ছাড় দেয়া সম্ভব, তা দিতে আমরা প্রস্তুত ছিলাম।
    কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট অরাজকতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল মন্তব্য করে ৩ বারের সফল প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাত জোট চেয়েছিল দেশে একটা অরাজক এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে। অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পিছনের দরজা দিয়ে তারা ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের সেই ষড়যন্ত্রের পাতানো ফাঁদে পা দেননি।
    মহাজোট নেতা বলেন, তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডাও। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম-এর সামনে হাজার হাজার পবিত্র কোরান শরীফ পুড়িয়ে দিয়েছে। ট্রেনের লাইন উপড়ে ফেলে এবং ফিসপ্লেট খুলে শতশত বগি এবং রেল ইঞ্জিন ধ্বংস করেছে।

    তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন ৫৮২টি স্কুলে আগুন দিয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসারসহ ২৬ জনকে হত্যা করেছে। নির্বাচনের পর সংখ্যালঘু এবং আওয়ামী লীগ সর্মথকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে, আগুন দিয়েছে।
    সন্ত্রাস, বোমাবাজি ও অগ্নিসংযোগকে উপেক্ষা করে দেশবাসী ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছেন, গণতন্ত্রের ধারাকে অব্যাহত রেখেছেন দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে আমরা সংলাপে বসার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। সংবিধানের আওতায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা সব ধরণের ছাড় দিতে চেয়েছিলাম। নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রীসভা গঠনের জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম।
    সংসদ নেতা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে অনির্বাচিত সরকারের কোন ব্যবস্থা নেই। আমাদের শুধু একটাই দাবী ছিল, সংবিধানের মধ্য থেকে আমরা নির্বাচন করতে চাই। সেখানে যত ধরণের ছাড় দেয়া সম্ভব, তা দিতে আমরা প্রস্তুত ছিলাম। তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত জোট চেয়েছিল দেশে একটা অরাজক এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে। অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পিছনের দরজা দিয়ে তারা ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের সেই ষড়যন্ত্রের পাতানো ফাঁদে পা দেননি। আর এজন্য প্রধানমন্ত্রী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।