মার্কিনীরা রাজনৈতিক বাতাবরণে বিরক্ত হয়ে পালাতে চায়!

    0
    207

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৯নভেম্বরঃ রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবারের নির্বাচনী প্রচারে মেক্সিকোর সঙ্গে তার দেশের সীমান্তে দেওয়াল তুলে দেয়ার কথা বলেছেন। বলেছেন মুসলমানদের আমেরিকার মাটিতে পা রাখা বন্ধ করে দেয়ার কথাও।

    কিন্তু তিনি বোধহয় আদৌ জানেন না যে তিনি যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে “সুরক্ষিত” করতে ব্যস্ত, তখন অনেক মার্কিন নাগরিকই তাদের দেশের রাজনৈতিক বাতাবরণে বিরক্ত হয়ে উত্তরে প্রতিবেশী কানাডায় পাড়ি দিতে উদ্যোগী। তাদের পাশাপাশি রয়েছেন মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী কানাডিয়ানরাও।
    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএ টুডে-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমেরিকার সীমান্তে অবস্থিত কানাডার ওন্টারিও প্রদেশে রিয়েল এস্টেটের কারবারিরা জানাচ্ছেন কোনো বিজ্ঞাপন না দেয়া সত্ত্বেও প্রচুর লোক সেদেশে ঘর-বাড়ি-সম্পত্তির খোঁজে উপস্থিত হচ্ছেন।

    প্রতিবেদনটির মতে, এই প্রবণতা নতুন কিছু নয় কিন্তু এ বছর যেন ব্যাপারটা একটু বেশিই চোখে পড়ছে। যারা কানাডাতে পাড়ি দিতে চাইছেন, তাদের মধ্যে সাধারণ মানুষ ছাড়াও রয়েছেন নামিদামি সেলিব্রিটি এবং এদের মধ্যে বেশিরভাগই রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।

    কানাডার অভিবাসন দফতর জানিয়েছে গত মার্চ এবং জুন মাসে অভিবাসন সম্পর্কে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন তারা পেয়েছে মার্কিনিদের থেকে, জানিয়েছে ইউএসএ টুডে।

    এই দু’টি মাসেই রিপাবলিকান প্রার্থী হোয়াইট হাউসের দৌড়ে বড় পা ফেলে এগোতে থাকেন। আর তাতেই ভীত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ।

    কানাডার টরোন্টোতে অভিবাসন-সংক্রান্ত আইনজ্ঞ জোএল স্যান্ডালউক ইউএসএ টুডে-কে বলেন তার দফতরেও প্রচুর প্রশ্ন এসেছে এই সম্পর্কে।

    “রিপাবলিকান কনভেনশন-এর সময়ে এই প্রবণতাটিকে বাড়তে দেখা গিয়েছিল। পরে তা একটু কমলেও একটা ব্যাপার পরিষ্কার: নিজের দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে পড়লেই মানুষ অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা ভাবে,” স্যান্ডালউক জানান ইউএসএ টুডেকে।ওয়েবসাইট