মেয়র কিরণ মুক্ত করল বড় দেওড়ার রাস্তার চাঁদাবাজি

    0
    240

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৪ডিসেম্বর,নিজস্ব প্রতিনিধি: মেয়র আসাদ্দুজামান কিরণের উদ্দ্যোগে মুক্ত হল চেরাগ আলী বড় দেওড়ার চন্ডিতলা রাস্তার চাঁদাবাজি। বরিবার সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেড জহিরুল ইসলামের এর নেতৃত্বে তুলে দেওয়া হয় চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অবৈধ ভাবে নির্মাণ করা চন্ডিতালা রাস্তার ব্যারিকেড। জানা যায়, বিগত ১৫দিন ধরে বড় দেওড়ার চন্ডিতলার রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে রেখেছিল জজ মিয়া নামের এক স্থানীয় ব্যক্তি।

    বিভিন্ন মালবাহী গাড়ি থেকে চাঁদা আদায়ের জন্য সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল এই ব্যারিকেড। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন পরিমাণের টাকা আদায় করে খুলে দেওয়া হত রাস্তার এই ব্যারিকেড। অভিযোগ আছে নিজের ইচ্ছামতো টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন গাড়ি প্রবেশের ব্যবস্থা করতো জজ মিয়া। নিজেকে সরকার দলীয় নেতা বলে দাবি করলেও জানাযায়, তিনি সরাকার দলীয় কোন কমিটিতেই নেই। বিভিন্ন সময় সরকার দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করতে এলাকায় তৈরি করেছে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী।

    এলাকার বিভিন্ন সূত্র জানায়, এলাকার কেউ বাড়ি করতে গেলে চাঁদার নামে হাতিয়ে নেওয়া হত বড় অংকের টাকা। কেউ টাকা দিতে না চাইলে মেরে ফেলার হুমকি দিতো। সরকারি রাস্তায় অবৈধ ভাবে ব্যারিকেড নির্মাণের বিষয়টি গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আজাদ্দুজামান কিরণকে জানানো হলে, তিনি নিজ উদ্দ্যোগে ঘটনাস্থানে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেড পাঠিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং পরমুহুর্তেই এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। মুঠো ফোনে আজাদ্দুজামান কিরনের কাছে এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, অবৈধ ভাবে সরকারি জামিতে কোন কিছু নির্মাণ হলে তা অবশ্য উচ্ছেদ করা হবে।

    গাজীপুরের সাধারণ জনগনের সাথে কথা বলে জানা যায়, আজাদ্দুজামান কিরণ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গাজীপুরের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের পরিমাণ কমে গেছে। আর অবৈধ নির্মাণ উচ্ছেদে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পরিকল্পনা।

    এদিকে টঙ্গী বড় দেওড়া এলাকার বাসিন্দরা জানিয়েছে, আগামীতে আবার যেন এসব চাঁদাবাজেরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে লক্ষ্যে সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।