মেয়েরা কম বয়সে প্রথমে ভালোবাসে আবেগ দিয়ে পরে…

    0
    206

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪ফেব্রুয়ারী:শফিক রেহমান। যায়যায়দিনখ্যাত প্রখ্যাত সাংবাদিক। তার আরেকটি পরিচয়, তিনি ভালোবাসা দিবসের প্রবর্তক। অনেকে তাকে বলতে চান ‘ভালোবাসার প্রতীক’ বা ‘প্রেমের প্রতীক’। পশ্চিমে ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ হিসেবে পালন করা হয়।  তবে বাংলাদেশে ‘ভালোবাসা দিবস’ হিসেবে দিনটি পালনের আহ্বান জানান শফিক রেহমান। পশ্চিমের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য হলো, সেখানে দিনটি পালন করা হয় সীমিত পরিসরে, আর এখানে ব্যাপক পরিসরে। ‘সীমিত পরিসরে’ মানে, সেখানে দিনটিতে নারী-পুরুষের বিশেষ ভালোবাসার ব্যাপারটিই মুখ্য। আর এখানে তা নয়।  পিতা-মাতা-সন্তান, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পাড়া-প্রতিবেশী সবার পারস্পরিক ভালোবাসাই এখানে নির্দেশ করা হয়।

    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শফিক রেহমান ভালোবাসা দিবসের আহ্বান জানান ১৯৯৩ সালে। প্রথম দিকে তিনি কিছুটা সমালোচনার মুখে পড়লেও ওই সময়ই তিনি বেশ সাড়া পান। এখন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ বেশ উৎসাহ নিয়েই দিনটি পালন করছে। এ কারণে মি. রেহমান অবশ্য বেশ আনন্দিত। তিনি বলেছেন, ঘৃণার বদলে ঘৃণা হতে পারে না। ঘৃণার উত্তর ভালোবাসা দিয়ে হতে পারে। তিনি এও বলেছেন, বাংলাদেশের কয়েকটি দল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। সহিংসতাকে পুঁজি করে তারা এগিয়ে যেতে চায়। কিন্তু পারস্পরিক ভালোবাসা এখানে অনেক বেশি দরকার।
    সংশ্লিষ্ট আরো কিছু বিষয় নিয়ে নতুন বার্তা ডটকমের মুখোমুখি হন শফিক রেহমান। গুরুত্বপূর্ণ নানা কথা তিনি বলেছেন ভালোবাসাসুলভ ভঙ্গিতেই।

     নতুন বার্তা ডটকম: ভালোবাসা দিবসের প্রবর্তনের চিন্তা কেন করেন?

    শফিক রেহমান: আশির দশকে লন্ডনে নির্বাসিত ছিলাম। তখন সেখানে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালন করাটা বেশ জোরেশোরেই শুরু হয়েছে। আগে এমনটা ছিল না। ছয় বছর নির্বাসনের পর ’৯২ সালে যখন দেশে ফিরে আসি। তখন দেখি চারদিকে শুধু ঘৃণা আর হিংসা-বিদ্বেষ।  ভাবলাম, এতদিন আমি ছিলাম ভালোবাসার একটা উত্থানের মধ্যে, আর এখানে এসে দেখি এসব। খুবই খারাপ লাগল। কারণ হত্যার বদলে তো হত্যা হতে পারে না, ঘৃণার বদলে ঘৃণা হতে পারে না। ঘৃণার উত্তর ভালোবাসা দিয়ে হতে পারে। চিন্তা করলাম, বাংলাদেশে ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করা যায় কি না। এই দিনটা কীভাবে পালন করা হবে- সেটি নিয়েও চিন্তা করলাম। ভাবলাম, এটাকে বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা যেতে পারে। আবার এটা একটা সর্বজনীন দিন। কারণ বিশ্বে এই দিনটি ছাড়া এমন কোনো দিন নেই, যে দিনটি সব মানুষ একসঙ্গে পালন করতে পারে।

    আবার এখানে আর একটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে, এটি কিন্তু ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’ নয়। শুধু ‘ভালোবাসা দিবস’। এটি এখনো ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’ স্বীকৃতি পায়নি। হয়তো একদিন জাতিসংঘ তা ঘোষণা দিতে পারে। তখন এটা হবে ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’।

    এ ভালোবাসা শুধু ছেলে-মেয়ের মধ্যকার বিশেষ ভালোবাসা নয়। স্বামী-স্ত্রী, নর-নারী, ভাই-বোন, পিতা-মাতা-সন্তান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সব সম্পর্কের ক্ষেত্রেই ভালোবাসার বিষয়টি রয়েছে। অর্থাৎ এ ভালোবাসা হলো মানুষে মানুষে ভালোবাসা। আসলে ভালোবাসার প্রকাশটাই বেশি হওয়া উচিত।

    এদিনে বাবা-মাকে চা বানিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। অথবা বাবা-মায়ের কাপড় লন্ড্রি করে দেয়া যেতে পারে। অর্থাৎ এদিনে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ যেকোনোভাবে করা যেতে পারে।

    নতুন বার্তা ডটকম: ওই সময় কি ভেবেছিলেন যে, এত সাড়া পাবেন?
    শফিক রেহমান: না, ভাবিনি। তখন যেসব সমালোচনার মুখে পড়েছিলাম, সেসব এখন উতড়ে গেছে। সবাই এটাকে অনেক ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। আজ আমি অত্যন্ত অনেক খুশি। বাংলাদেশের কয়েকটি দল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। সহিংসতাকে পুঁজি করে তারা এগিয়ে যেতে চায়। কিন্তু পারস্পরিক ভালোবাসা এখানে অনেক বেশি দরকার।

    নতুন বার্তা ডটকম: ওই সময় কী ধরনের সমালোচনা হয়েছিল?
    শফিক রেহমান: ওই সময় আমার অনেক শিল্পী-বন্ধু, কবি-বন্ধু, লেখক-বন্ধু আমার পাশে ছিল। তবে কেউ কেউ সমালোচনাও করেছে। কেউ বলেছে, এটা পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুকরণ। কেউ বলেছে, আমি নাকি বাংলা সংস্কৃতিতে পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ করাচ্ছি। এরকম আরো কিছু সমালোচনা ছিল। তবে যথেষ্ট সতর্ক ছিলাম। ওই সময় তো যায়যায়দিনে ‘দিনের পর দিন’ কলামে মইন ও মিলার পরকীয়ার ঘটনা ছিল। যদি ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে তা পালন করার আহ্বান জানাতাম, তাহলে অনেকেই বলত, শফিক রেহমান পরকীয়ার তালে আছে। ফোনে নারী-কণ্ঠ শুনলে সতর্ক থাকতাম। আবার ডিজিএফআই সেটা রেকর্ড করছে কি না- সেটাও ভাবতাম।

    একসময় হোটেলে কবিতা-পাঠের আসর করেছিলাম। তখন অনেকে বলেছিল, শফিক রেহমান হোটেল-সাহিত্য শুরু করেছে। আসলে যারা বলত, ওরাই কিন্তু হোটেলে যেতে চায়, মদ খেতে চায়। আমি তাদের বললাম, ‘তোমরাই তো এটা চাও। এখন কেন সমালোচনা করছ?’ ওই সময় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে(বর্তমানে রূপসী বাংলা হোটেল) চিফ অ্যাকাউন্ট্যান্ট ছিলাম। কয়েকবার অ্যাকটিং জেনারেল ম্যানেজারেরও দায়িত্ব পালন করেছি। হোটেলের বলরুম ফাঁকা থাকলে সেই আয়োজন করতাম। তাদের ডিসকাউন্টেও খাওয়াতাম।

    আর একটা বিষয় হলো, ওই সময় বইমেলায় কিছু তরুণকে দায়িত্ব দিলাম। যারা বই কিনত, তাদের জন্য থাকত ক্যারিয়ার ব্যাগ, যেখানে ভালোবাসার বাণী ছিল। চকলেট, বুকমার্ক, গোলাপ ফুল, কুশন, লাল গোলাপ-এসবও গিফট হিসেবে ছিল। যারা বই বিক্রি করতেন তারা অনেক সময় তেমন ভালো কাপড়-চোপড় পরতেন না। প্রকাশকরা সুন্দর কভারের বই বের করতেন, অথচ যারা বই বিক্রি করতেন তাদের দিকে নজর দিতেন না। আমরা তাদের ক্যাপ দিলাম।

    আসলে সবখানেই তো একটা ভালোবাসার ছোঁয়া দরকার।

    নতুন বার্তা ডটকম: এই দিবসটি নিয়ে অনেকে ব্যবসার সুযোগও পাচ্ছেন।
    শফিক রেহমান: ব্যবসা করলে তো অসুবিধা নেই। ব্যবসা-বাণিজ্য না হলে তো দেশ এগুবেও না। রাজনীতিতে কারো ছবি নিয়েও তো অনেকে ব্যবসা করে। কেউ যদি ভালোবাসাকে পুঁজি করে, হার্ট-এর ছবি নিয়ে যদি কেউ ব্যবসা করে, মন্দ কী? বরং মানুষ খুশি হবে। তবে আমি চাই, ভালোবাসার দিনে ২০ ভাগ বা ৩০ ভাগ ডিসকাউন্ট দেয়া হোক। মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো বড় ব্যবসায়ী। মানুষ হাজার হাজার কোটি টাকা স্রেফ কথা বলেই উড়িয়ে দেয়। বড় বড় বিজ্ঞাপন না দিয়ে, বা কমিয়ে দিয়ে সেই টাকাটা তরুণদের জন্য ব্যয় করুক। ভালোবাসার দিন সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কম রেটে তারা এসএমএস করার সুযোগ দিতে পারে।

    নতুন বার্তা ডটকম: আপনার ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ ব্যাপক। মানুষ আপনার ভালোবাসা সম্পর্কেও জানতে চায়।
    শফিক রেহমান: আসলে ভালোবাসা তো বিশাল একটা যাত্রা। এ যাত্রায় দুর্ঘটনা, সুঘটনা ঘটবে। কারণ, এখানে লক্ষ্যে পৌঁছানোর ব্যাপার থাকে। কিন্তু মানুষের মধ্যে ভুল হতে পারে। পদস্খলন হতে পারে। ভালোবাসায় ক্ষমা করার ঔদার্য থাকতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে ডিভোর্স হচ্ছে। এখানে অ্যাডজাস্টমেন্টের ব্যাপার থাকতে হবে।

    আর আমার ভালোবাসার যে ব্যাপার সেটাতে অনেক ঘটনা আছে। এ বিষয়ে আসলে ভবিষ্যতে লিখতে হবে। ভালোবাসার হাতছানি তো সবসময়ই ছিল। তবে আমি সফল প্রেমিক।

    নতুন বার্তা ডটকম: প্রেমে দুটো দিক- একটা মিলন, আরেকটা বিরহ। আপনার কোনটা ভালো লাগে?
    শফিক রেহমান: সাফল্য থাকলে ব্যর্থতা থাকবে, ব্যর্থতা থাকলে সাফল্য থাকবে। জীবনে অ্যাবসলিউট বলে কিছু নেই। শুধু সাফল্য বা শুধু ব্যর্থতা বলে কিছু নেই। আসলে ভালোবাসা হলো ‘চিকেন পক্সের’ মতো। যত তাড়াতাড়ি হয়ে যায় তত ভালো। এক্ষেত্রে কিছুটা দাগ থেকে যায়। যত বেশি বয়সে হয়, তত বেশি দাগ থেকে যায়। আর প্রেম হয়ে গেলে একটা দাগ যদি থেকে যায়, থেকে গেল, কী আসে যায়?

    নতুন বার্তা ডটকম: যায়যায়দিনে ‘দিনের পর দিন’ কলামে মইন ও মিলার পরকীয়া প্রেম নিয়ে লিখেছেন। এখানে আপনি ‘পরকীয়া’ বেছে নিলেন কেন?
    শফিক রেহমান: আসলে পরকীয়ায় নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য থাকে না। অর্থাৎ এটার কোনো পরিণতি নেই। কিন্তু প্রেমে কিন্তু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। প্রেম, অতঃপর বিয়ে- এরপর আর এগুনো মুশকিল। কিন্তু পরকীয়ায় একটা আগ্রহ থেকে যায়। এটাকে লেখার একটা ‘ফরম্যাট’ বলা যেতে পারে।

    নতুন বার্তা ডটকম:  ছেলে ও মেয়ের ভালোবাসায় তফাৎ কী?
    শফিক রেহমান: মেয়েরা কম বয়সে প্রথমে ভালোবাসে আবেগ দিয়ে। বয়স বাড়লে তাদের আবেগ কমে। পরে বুঝে-সুঝে এগোয়। মেয়েরা খুব তাড়াতাড়ি বুঝে যায়, ভালোবাসায় কতটা খাদ আছে। কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে উল্টো। কম বয়সে এরা নানা চিন্তাভাবনা করে এগোয়। পরে আবেগের মধ্যে পড়ে যায়। বয়স যত বাড়ে, আবেগের মাত্রাও বাড়ে। হুমায়ূন আহমেদই তো এর প্রমাণ।

    সম্প্রতি টিভিতে একটা অনুষ্ঠান করলাম। সেখানে উপস্থিত তরুণীদের বক্তব্য হলো, সঙ্গী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পুরুষের সততার ওপরই তারা গুরুত্ব দেন। অর্থাৎ পুরুষটি ভালো মানুষ কি না সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমার ধারণা, পুরুষের সেন্স অব হিউমার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। টাকা-পয়সা খরচ করার ব্যাপারও বেশ ভূমিকা রাখে।  কৃপণরা কখনো ভালো প্রেমিক হতে পারে না।

    আর মেয়েদের প্রতি ছেলেরা প্রথমে রূপ দেখে আকর্ষণ বোধ করে। কিন্তু মেশার পর গুণের প্রতি আকৃষ্ট হয় বেশি। তার মানে, মেয়েদের গুণটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

    মুশকিল হলো, আই লাভ ইউ- এই কথা বলাটার ক্ষেত্রে আমাদের কত যে জড়তা! ভালোবাসার কথা বলতে হবে। এখানে সংকোচের কিছু নেই।

    নতুন বার্তা ডটকম: বর্তমান প্রেমিক যুগলের অভিযোগ, কোথাও বসে গল্পসল্প করার মতো ভালো পরিবেশ নেই। সবখানে একটা না একটা বিড়ম্বনা। এর আগে জোট সরকারের আমলে আপনি দাবি জানিয়েছিলেন লাভ পার্ক করা হোক।
    শফিক রেহমান: আমি লাভ রোড করেছি। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাভ পার্ক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা আর হয়নি। আসলে এটা ঠিক যে, বর্তমানে নীরবে বসে কোথাও একটু আলাপ করার জায়গা নেই। এজন্য লাভ পার্ক হওয়া উচিত। তবে লাভ পার্কের জন্য একটা জায়গা ঠিক করা আছে। আমার সেই আগের যায়যায়দিন অফিসের জায়গায়। অনেক কাজও রেডি করেও ফেলেছিলাম। দোলনা রেখেছিলাম। প্রেমিকযুগল দোলনায় দুলবে, গল্পসল্প করবে। যদি সেই ভবনটা আবার ফিরে পাই, তাহলে লাভ পার্ক হবে। সামান্য প্রবেশমূল্য থাকবে। সেখানে অবশ্য ডিসকাউন্টও দেয়া হবে।

    নতুন বার্তা ডটকম: সেকালের ভালোবাসার সঙ্গে একালের ভালোবাসায় মিল বা অমিল কী?
    শফিক রেহমান: আবেগ তো চিরকালই এক, বহিঃপ্রকাশ ভিন্ন। আগে নীলকাগজ, নীলখামের প্রচলন ছিল। এখন এসএমএস। আরো নানান প্রযুক্তি। আর সেসময় রেস্টুরেন্ট ছিল কম। কোথাও দেখা করা মুশকিল ছিল। গুলিস্তানে কিছু আইসক্রিম পার্লার ছিল। আমি অবশ্য দুঃসাহসিক ছিলাম।  বৈচিত্র্য আনার জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজে বের করতাম। সদরঘাটে কাঠের দোকান ছিল, সেখানে চিংড়ি ফ্রাই হতো। সেখানেও প্রায়ই যেতাম।

    নতুন বার্তা ডটকম: অনেকে হতাশ হয়ে বলে, ‘আসলে কারো কারো জীবনে প্রেম হয় না’। এ ‘উক্তি’কে আপনি কীভাবে দেখছেন?
    শফিক রেহমান: কথাটা ঠিক নয়। লর্ড অ্যালফ্রেড টেনিসন বলেছেন,  ‘প্রেম না করে সারাজীবন থাকার চেয়ে একবার প্রেম করে ব্যর্থ হওয়া ভালো।’ আর গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা সন্ধ্যা মুখার্জির একটা গান আছে- ‘হয়তো কিছুই নাহি পাব, তবু দূর হতে তোমায় ভালোবেসে যাব।’ যারা ব্যর্থ হবেন, তাদের সবাইকে এই গান গাইতে অনুরোধ করছি!

    নতুন বার্তা ডটকম: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
    শফিক রেহমান: নতুন বার্তা ডটকমকেও ধন্যবাদ।সূত্রঃনতুন বার্তা