মৌলভীবাজারে হোটেল শ্রমিক রিয়াদ হত্যার শাস্তি দাবি

    0
    416

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,ডিসেম্বরঃ ঢাকার ঘরোয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের ১৬ বছরের কিশোর শ্রমিক রিয়াদের খুনী হোটেল মালিক আরিফুল ইসলাম সোহেল ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের মাধ্যমে পার পেয়ে যাওয়ার অপচেষ্টার প্রতিবাদে ও খুনী সোহেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন রেজিঃ নং বিঃ ২০৩৭ এর ডাকে দেশব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৩০৫-এর শেরপুর আ লিক কমিটির উদ্যোগে ১০ ডিসেম্বর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।

    ১০ ডিসেম্বর বিকাল ৫ টায় শেরপুর বাইপাস রোডস্থ কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা সমবেত হয়ে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে গোলচত্ত্বর এলাকা প্রদক্ষিণ করে পুণরায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে এক সমাবেশ করে।া হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের শেরপুর আ লিক কমিটির সভাপতি শংকর দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ রমজান আলী পটু।

    এছাড়াও সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল ও সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং ১৯৩৩ এর সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম। শেরপুর হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এমডি দুলাল আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ওসমানীনগর হোটেল শ্রমকি ইউনিয়নের সভাপতি অনুকুল বৈদ্য, মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন মিয়া, শেরপুর আ লিক কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।

    সভায় বক্তারা বলেন  গত বছর ২৭ অক্টোবর গভীর রাতে ঘরোয়া হোটেলের মালিক সোহেল তারই প্রতিষ্ঠানের কর্মরত কিশোর শ্রমিককে নির্মম ভাবে গুলি করে হত্যা করে। এর প্রতিক্রিয়ায় সারাদেশের হোটেল শ্রমিকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়লে খুনী সোহেল গা ঢাকা দিতে বাধ্য হয়। হোটেল শ্রমিকদের ধারাবাহিক আন্দোলনের মুখে পুলিশ খুনী যাতে দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য সকল সীমান্তে রেড এলার্ট জারি করে। সারাদেশের হোটলে শ্রমিকরা তাদের সহকর্মীর বিচারের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে পর্যায়ক্রমে জেলা প্রশাসক, শ্রম মন্ত্রী এমন কি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত স্মারকলিপি প্রদান করেও কোন প্রতিকার পাননি।

    গত জুলাই মাসে পুলিশ ঘরোয়া হোটেলের মালিক আরিফুল ইসলাম সোহেলসহ তিন জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট প্রদান করলেও খুনীকে গ্রেফতারে কার্যকর তৎপরতা চালায়নি। উপরন্তু খুনী সোহেল নানা ভাবে মামলার বাদী রিয়াদের পরিবারকে হুমকি ও ভয়-ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে মামলা প্রত্যাহারের চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। সম্প্রতি রিয়াদের ভাই ও মায়ের হাতে জোরপূর্বক কিছু টাকা দিয়ে মামলা প্রত্যাহারের হুমকি প্রদান করে।

    ইতিমধ্যে সংবাদ পত্রে প্রকাশিত হয় ৪০ লাখ টাকায় এবং  ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব ও দাপট দেখিয়ে মামলা নিষ্পতি করার পরিকল্পনা নিয়ে অতি গোপনে গত ২৭ নভেম্বর আদালতে আত্মসমার্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত খুনী সোহেলকে কারাগারে প্রেরণ করে। সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে খুনী সোহেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।