আমার সিলেট ডেস্কঃ র্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করা হয়েছে। শনিবার ১১ ডিসেম্বর সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা জানিয়ে বলেছেন, র্যাবের মতো মানবিকতা বিশ্বের খুব কম বাহিনীই দেখিয়েছে।
বাংলাদেশে ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগে প্রতিষ্ঠান হিসেবে র্যাব এবং র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন সরকার। শনিবার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের পর ওই ঘটনা নিয়ে র্যাবের প্রতিক্রিয়া জানতে চান গণমাধ্যমকর্মীরা।
র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন বলেন, ‘র্যাব মানবাধিকার লুণ্ঠন করে না, মানবাধিকার রক্ষা করে।’ তিনি এও বলেন, এখন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যা কিছু জেনেছেন তার সবই গণমাধ্যম থেকে পাওয়া। তিনি জানান, মানবাধিকার রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র্যাবের লে. কর্নেল আজাদসহ ২৮ জন জীবন দিয়েছেন। মানবাধিকার রক্ষা ও আইনশঙ্খলা সমুন্নত রাখতে র্যাবের এক হাজারের বেশি সদস্যের অঙ্গহানি হয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখার জন্য দুই হাজারের বেশি সদস্য বিভিন্নভাবে আহত হয়েছেন।
র্যাবের সদস্য সংখ্যা ৯ হাজার উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বে এমন কোনো ফোর্স নেই, দেশের আইনশৃঙ্খলা-মানবাধিকার রক্ষায় এভাবে আত্মত্যাগ করেছে কিনা, আমার সন্দেহ রয়েছে।’
র্যাব কমান্ডার মঈন জানান, র্যাবের উদ্যোগে সুন্দরবন জলদসুমুক্ত হয়েছে। ৩৬টি বাহিনীর ৩২৬ জন আত্মসমর্পণ করেছেন। জঙ্গিবাদ দমনেও র্যাব কাজ করেছে। তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জলদস্যুদের ঘর বানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গরু কিনে দেওয়া হয়েছে। সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য যা যা দরকার, সব করেছে র্যাব। বিশ্বের খুব কম বাহিনীই এত মানবিকতা দেখিয়েছে। র্যাবই প্রথম ডোপ টেস্টের উদ্যোগ নিয়েছে যেন কোনো মাদকাসক্ত এই বাহিনীতে ঢুকতে না পারে। করোনার সময় যখন ছেলে বাবাকে কিংবা বাবা ছেলেকে ফেলে গেছেন র্যাব হেলিকপ্টারে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে র্যাবের সম্পৃক্ততার অভিযোগের বিষয়ে সংস্থাটির মুখপাত্র আল মঈন বলেন, ‘বিভিন্ন সময় গুলিবিনিময় বা ক্রসফায়ার নিয়ে অভিযোগ ওঠে। আত্মরক্ষার অধিকার আইন দিয়েছে। মাদক ও জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযানে আমরা যখন প্রতিরোধের শিকার হয়েছি, যখন গুলি চালিয়েছে তখনই আমরা গুলি করেছি। গুলি বিনিময়ে অফিসার ও বিভিন্ন সদস্য শহীদ হয়েছেন।’
তিনি জানান, প্রতিটি গুলিবর্ষণের ঘটনার নির্বাহী তদন্ত হয়। যদি কেউ ভুল করে থাকেন তাহলে র্যাব কঠোর ব্যবস্থা নেয়। আইন ও নিয়ম ভঙ্গের বিরুদ্ধে র্যাবের অবস্থান কঠোর।