শার্শার পল্লীতে ইমামুলের লালসার শিকার ছাত্রী নিরাপত্তাহীনতায়

    0
    216

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,০৭জুন,বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের গোকর্ণ গ্রামের ইমামুলের লালসার শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। পিতৃ পরিচয়ের দাবী জানালে ১লাখ টাকার বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে স্থানীয় একটি বিশেষ মহল।

    ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরা থেকে আগত আমিরুল ইসলাম দীর্ঘ দিন ধরে শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের গোকর্ণ গ্রামে জাহাঙ্গীর মাষ্টারের ছেলে সবুরের জায়গায় ঘর তৈরী করে বসবাস করে। এসময় তার মাদ্রাসায় পড়া মেয়ের দিকে চোখ পড়ে গ্রামের ইমামূলের। ইমামূল গোকর্ণ গ্রামের বংশীয় বারিক মেম্বরের ছেলে। সে নিজেকে ছাত্রলীগের দাপুটে নেতা পরিচয় দিয়ে আমিরুলের মেয়ের সঙ্গে প্রেমজ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে প্রেমজ সম্পর্কের টানে ঘর বাধার স্বপ্ন দেখিয়ে তাকে ভোগ করতে থাকে দিনের পর দিন। ঘটনার আড়াই মাস পর জাহাঙ্গীর মাষ্টারের ছেলে সবুর উক্ত মেয়েকে মে মাসের ১০ তারিখে নাভারণের একটি বে-সরকারী ক্লিনিকে নিয়ে এসে অন্তঃসত্ত্বা কিনা তা পরীক্ষা করে।

    পরীক্ষায় মেয়েটি জানতে পারল যে সে আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এসময় ইমামূলের কাছে মেয়েটি তার গর্ভের সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবি জানায়। ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে পড়ে লেগে গেল তাকে এলাকা ছাড়া করার জন্য এবং তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকী দিতে থাকে। এ ঘটনায় সবুর ইমামূলের পক্ষ নিয়ে ১লাখ টাকায় দফা-রফা করার জন্য উঠে পড়ে লেগে গেছে। এ অবস্থায় মেয়েটি এখন গৃহবন্ধী হয়ে পড়েছে।

    এব্যাপারে স্থানীয় গ্রামবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, মেয়েটি যাহাতে উক্ত ঘটনার প্রকৃত বিচার পায়।

    এব্যাপারে ইমামূলের পিতা বারিক মেম্বরের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের এ প্রতিনিধিকে শাসিয়ে বলেন, আমি ১লাখ টাকা না ৫লাখ টাকার বিনিময়ে মিটিয়ে ফেলেছি। তাতে আপনাদের কি ?

    এ ব্যাপারে শার্শার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই জাফর বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নাই। আমি খোজ খবর নিয়ে পরে জানাব।