শার্শায় অপকর্ম ঢাকতে পুলিশের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে কুচক্রি মহল

    0
    446

    আমারসিলেট24ডটকম,নভেম্বর,এম,ওসমান নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে এবার পুলিশের ঘাড়ে দোষ চাপাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বাগআঁচড়ার এক কুচক্রি মহল। আর হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছে কুখ্যাত বোমবাজ, অস্ত্র ব্যবসায়ী ও ১১ মামলার আসামী মিঠু ধাবকের স্ত্রী চায়না খাতুনকে। বিভিন্ন মহলে পুলিশের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য লিপিবদ্ধ করে অভিযোগ দেয়ায় সচেতন মহলে ধিক্কার উঠেছে।

    সুত্র মতে জানা যায়, গত ২৯ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১২ সময় শার্শার সাতমাইল এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় একই এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র হাসানের কাছে চাঁদা দাবি করে সন্ত্রাসী মিঠু ধাবক। হাসান চাঁদা দিতে অস্বিকার করলে কাছে থাকা আগ্নেয় অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করতে থাকে এবং হত্যা করার হুমকি প্রদান করে। এ সময় হাসানের ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে মদ্যপ অবস্থায় মিঠু ধাবককে আটক করে এবং পুলিশে খবর দেয়। এ খবরের ভিত্তিতে শার্শা থানা পুলিশ ও বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আইসিসহ সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত হয় এবং মিঠু ধাবককে অস্ত্র গুলিসহ আটক করে। এ ব্যাপারে তাকে আসামী করে অস্ত্র আইনে শার্শা থানায় মামলা হয়। যার নং-৩১।

    একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, কুখ্যাত বোমবাজ, অস্ত্র ব্যবসায়ী ও ১১ মামলার আসামী মিঠু ধাবক এলাকায় সন্ত্রাসী ও চাদাবাজী করে আসছিল। আর এ কারনে তার নামে একরপর এক মামলা হতে থাকে। মামলা ভিত্তিতে পুলিশ তাকে আটক করতে বারবার অভিযান চালাতে থাকে। এর ফলে সে এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়ে অন্যত্র আশ্রয়। এ সুযোগে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। আর এ অপরাধ কর্মকান্ডের ফলে রাজশাহীর বাঘা থানায় মিঠুর নামে সন্ত্রাসী ও চাদাবাজীর মামলা হয়। ২০০৮সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে শার্শার বাগআঁচড়ার কুখ্যাত এক গডফাদারের ইশারায় এলাকায় ফিরে আসে এবং এরপর থেকে আবারো অপরাধ নামের অন্ধকার জগতে ফিরে আসে। একের পর এক এলাকায় সন্ত্রাসী হামলা, চাঁদাবাজী ও বোমা হামলার ঘটনায় তার নামে আবারো মামলা হতে থাকে। আর এরিই সুবাধে তাকে ধরতে পুলিশ বারবার অভিযান চালালেও ব্যর্থ হয়। গত ২৯ অক্টোবর জনগনের হাতে মিঠু ধাবক আটক হওয়ার পর তার গডফাদাররা ষঢ়যন্ত্রে মেতে ওঠে।

    একাধিক সুত্র জানায়, মিঠু ধাবক দীর্ঘদিন ধরে শার্শার বাগআঁচড়া এলাকা গোলযোগ পূর্ন। বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি এসআই সৈয়দ বায়েজিদ মিঠু ধাবকের গডফাদারদের পক্ষ না নেয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ক্ষিপ্ত রয়েছে। তাই সুযোগ বুঝে ষঢ়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

    গত ০৩ নভেম্বর দৈনিক লোকসমাজ ও সামাজের কথা পত্রিকা যে এসআই সৈয়দ বায়েজিদকে জড়িয়ে যে কুরুচিপূর্ন সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তার সম্মন্ধে শার্শা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আব্দুর রহিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিঠু ধাবকের বাড়িতে অভিযান চলাকালীন সময়ে আমার উপস্থিতি ছিল। সেখানে কোন ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি। সন্ত্রাসী মিঠু ধাবককে বাচাতে পুলিশের বিরুদ্ধে সাজানো নাটক করা হচ্ছে।

    মিঠু ধাবকের হাতে নির্যাতনের শিকার হাবিবুর রহমান জানান, আমার ভাই মাহাবুর রহমান মিটু ধাবকের নামে বাদি হয়ে মামলা করেছে। পুলিশ প্রতিবার অভিযান চলাকালীন সময়ে আমার ভাই সহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তার বাড়ীতে যায়। সেখানে কোন ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

    বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মহিলা সম্পাদিকা মনিরা বেগম জানান, ১বছর আগে আমার বাড়ির উপরে এসে সন্ত্রাসী মিঠু ধাবক চাঁদা দাবী করে। না দেয়ায় আমার উপর নির্যাতন চালায়। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলে পুলিশ আটক করে জেল-হাজতে পাঠায়। জেল থেকে ফিরে এসে আমার বাড়িতে বোমা হামলা চালায় এবং জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে।

    সন্ত্রাসী মিঠু ধাবকের স্ত্রীর শীলতাহানীর বিষয়ে জানতে চাইলে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি এসআই সৈয়দ বায়েজিদ বলেন, তার নামে একাধিক মামলা থাকায় তাকে আটকের জন্য বারবার অভিযান পরিচালনা করি। আর প্রতিটি অভিযান চলাকালিন সময়ে শার্শা থানা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও যশোর পুলিশ লাইনের রিজার্ভ ফোর্স নিয়েই সেখানে গিয়েছি। যা এলাকাবাসী জানেন।