শার্শায় স্বামী ও ভাসুর কর্তৃক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

    0
    361

    বিচারের আশায় সন্তানকে নিয়ে পথে পথে 

    বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলার গোড়পাড়া গ্রামে স্বামী ও ভাসুর কর্তৃক ছাবিনা খাতুন (২৩) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী অভিযোগ ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া বড়বাড়ি এলাকার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে ওমর আলী মালেশিয়া থাকাকালীন সময়ে ছাবিনার সাথে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পরিচয় হয়।

    দীর্ঘ ৮ মাস সম্পর্কের এক পর্যায়ে ওমর আলীর ভাই আবু বক্কর সাবিনাকে দেখতে গ্রামের বাড়ী পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার আড়াইকুলা ইউনিয়নের বনগ্রাম যান। পরে আমার ভাসুর তার ভাই ওমর আলীর জন্য পছন্দ করেন। ওমর আলী মালেশিয়া থেকে দেশে ফিরে ২০১৪ সালে ১৫এপ্রিল সাবিনাকে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিয়ে করেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে সংসারে তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয়। বর্তমানে ছেলের বয়স সাড়ে ৩ বছর।

    নির্যাতিত সাবিনা খাতুন বলেন, অনেকদিন যাবত আমার স্বামী ও ভাসুর আমাকে বিভিন্ন ভাবে শাররিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করে এবং তালাক দেবে মর্মে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। আমার স্বামী ওমর আলী গত ১৯/৮/১৮ তারিখ মালেশিয়া থেকে ছুটিতে আসে। গত ৩০/৮/১৮ তারিখে আমার স্বামী একটি ভুয়া তালাকের ফটোকপির সাথে কিছু কাগজ জোরপূর্বক আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে।

    এলাকার চেয়ারম্যান ও মাতবরদের কাছে গিয়ে বিচার না পেয়ে অসহায় গৃহবধূ একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বর্তমানে পথে পথে ঘুরছে। এদিকে গত ০৩/০৯/২০১৮ ইং তারিখে কোন রকম আইনের তোয়াক্কা না করেই ওমর আলী দ্বিতীয় বিবাহ করে। রাতের আঁধারে লোক চোক্ষুর আড়ালে ঝিকরগাছার উপজেলার মাটিকোমরা গ্রাম থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে আনে ওমর আলী।

    এ ঘটনা জানা জানি হলে সচেতন এলাকাবাসীর মধ্যে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। অসহায় নির্যাতিত গৃহবধু ছাবিনা খাতুনের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী ছাবিনা খাতুন প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবং সে পূর্বের ন্যায় স্বামী সংসার করতে চাই।