শ্রীমঙ্গলে কিশোরী হত্যার অভিযোগে আটক ব্যক্তির স্বীকারোক্তি

    0
    218

    নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্রীমঙ্গলের মির্জাপুর ইউনিয়নে চা বাগান এলাকার সাধুপাড়া গ্রামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে শ্রীমঙ্গল কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান আশিক ধৃত একমাত্র আসামী প্রেমিক লিটন সাঁওতালের স্বীকারোক্তি প্রকাশ করেছেন।

    সিনিয়র এএসপি সার্কেল আশরাফুজ্জামান জানান,  আসামি লিটন সাঁওতাল জিজ্ঞাসাবাদে তার জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি বলেন, গত ১ ফেব্রোয়ারী সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর চা বাগের উত্তর লাইন মাঝির পাড়া চা শ্রমিক নমিতা নায়েকের মেয়ে ললিতা নায়েক শিপার (১৫) অর্ধগলিত লাশ তাঁদের বসতঘরের পশ্চিম পার্শ্বের গর্তে পাওয়া যায়।

    তিনি আরো বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদ পেয়ে আমি সিনিয়র পুলিশ সুপার শ্রীমঙ্গল কমলগঞ্জ সার্কেল আশরাফুজ্জামান ও অফিসার ইনচার্জ শ্রীমঙ্গল থানা আব্দুস ছালেক সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।ভিকটিমের মা নমিতা নায়েক এবং প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলার পর একটি টিম গোপনীয়ভাবে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করতে থাকেন। জানা যায় তারা দুজন দুজনকে বিগত চার বছর যাবৎ ভালোবাসত,বিগত কিছুদিন আগে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিটন সাঁওতাল এর মনে সন্দেহের দানা বাধে।তাঁহার ধারণা ছিল শিপা নায়েক অন্য কাহার ও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। লিটন সাঁওতাল এর জবানবন্দি থেকেই জানা যায় বিগত ২৩ জানুয়ারী রোজ বৃহস্পতিবার লিটন শিপার সাথে দেখা করতে তাদের বাড়িতে যায়।

    এসময় বাড়িতে কেহ ছিলনা,তাহাদের মধ্যে প্রেমঘটিত বিষয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে লিটন সাঁওতাল শিপা নায়েক কে আঘাত করলে সে খাটের নিচে পড়ে যায় এবং তাঁহার নাখ মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে শরির নিস্তেজ হয়ে যায়।লিটন সাঁওতাল নিহত শিপা নায়েক এর মরদেহটি ঘরের পিছনে মাটির গর্তে পুতে রেখে খড়কুটো দিয়ে ঢেকে রাখে বলে আদালতে সে জানায়।

    উক্ত বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। লিটন সাঁওতাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।প্রেস ব্রিফিং এর সময় উপস্থিত ছিলেন অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সালেকসহ অন্যান্য পুলিশের এসআই ও সদস্য বৃন্দ।

    হায়েনা পুরুষদের ছোবলে শ্রীমঙ্গলে নিরীহ কিশোরীর মৃতদেহ