শ্রীমঙ্গলে অজ্ঞান করে ডাকাতী, ৪ জন হাসপাতালে

    0
    302

    বিক্রমজিত বর্ধন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সবুজবাগ এলাকায় শনিবার রাতে পাশাপাশি দুইটি বাড়ির জানালার গ্রীল কেটে কয়েক লক্ষাধীক টাকার সর্নালঙ্কার সহ মূল্যবান মালামাল লোট করে পালিয়ে যায় দূর্বিত্তরা। বাড়ীর ৪ সদস্য অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনারটির তদন্ত করছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।

    জানা যায় বাড়ীর লোকাজনকে স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে এই দূর্ধষ ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে।

    ঘটনা স্থলে গিয়ে জানাযায় সুজিত কুমার দাস ও কাজল বর্ধনের দুটি বাড়িতে ঘরের সব কিছু তছনছ করে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় দূস্কৃতিকারীরা।

    সুজিত কুমার দাশ জানায়, শনিবার রাতে প্রতিদিনকার মতো রাতের খাবার খেয়ে বিছানায় যায়। বিছানায় সোয়া মাত্রই প্রচন্ড ঘুমে আচ্ছন্ন করে আর তিনি ঘুমিয়ে পড়েনে। পরে ভোর রাতে একটা শব্দ শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেলেও বিছানা থেকে উঠার চেষ্ঠা করেও উঠতে পারেননি। শরীর পুরোটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। পরে সকাল বেলা কোন রকমে উঠে দেখেন ঘরের সব কিছু লন্ডভন্ড। উনার মা মাঠিতে পড়ে আছেন, নাকে, মুখে রক্ত পড়ছে।

    ঘরের জানালার গ্রীল ভেঙ্গে ডাকাতরা ঘরে প্রবেশ করে। আলমারীতে থাকা আড়াই ভরি স্বর্ণলঙ্কার ও নগদ টাকা সহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়। সকাল বেলা সুজিত দাসের মা হেনা রানী দাশ, স্ত্রী অর্পিতা দাশ, ও ভাই সুকেন্দু দাশ কে শ্রীমঙ্গল সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মা ও স্ত্রী অচেতন অবস্থায় আছেন। সবাইকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।

    এদিকে পাশের বাড়ির কাজল বর্ধন জানায়, তাদের পরিবারের সকলেই রাতে খাবার পর বিছানায় পড়ার পর ঘুমিয়ে যায়। সকাল ১০টার দিকে মানুষের ডাকে কোন রকমে ঘুম ভাঙ্গে। সে জানায় ঘুমানোর পর তাদের আর কিছু মনে নেই। অচেতন অবস্তায় সারারাত কাটিয়েছেন তারা। সে জানায় বাড়ির সামনের জানালার গ্রীল ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে  বাড়িতে থাকা ৪ ভড়ি স্বর্ণলঙ্কার , বাড়ির দলিল, ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে দূর্বিত্তরা।

    তার দুই সন্তান সৃষ্টি বর্ধন ও বিবেকানন্দন বর্ধনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে আনা হয়েছে। তারা একটু সুস্থ্য আছে। শ্রীমঙ্গল থানার এস আই ফজলে রাব্বি জানায়, তারা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে খাবারে অজ্ঞান করার স্প্রে ব্যবহার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুস্কিৃতিকারীদের ফেলে যাওয়া একটি সীম ছাড়া মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। মোবাইলের আইএমই নাম্বার দিয়ে ট্রেকিং চলছে।