শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরের মুসলিমবাগ আবাসিক এলাকার মনির নামে এক যুবককে রোববার দিবাগত রাতে একই উপজেলার কালীঘাট ইউনিয়নের ফুলছড়া চা বাগান এলাকায় কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে স্থানিয় উগ্র যুবকরা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছে সুত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে মনির মিয়া (২২) শহরের মৌলভীবাজার রোডস্থ মিদাদ শপিং সিটির একজন কাপর ব্যবসায়ী, তার পিতার নাম মৃত আকিল মিয়া (হাবিল) চা বাগানের নাটমন্দিরের মেলায় গিয়ে ঝালমুড়ি কিনে খাওয়ার সময় ফুলছড়া চা বাগানের ৪/৫ জন উগ্র নেশাগ্রস্ত যুবকদের সাথে কথা কাটির এক পর্যায়ে তাকে ও তার সাথে থাকা বন্ধু জহিরকে ধরে নিয়ে যায় অজ্ঞাত স্থানে, এ সময় মুসলিম বাগ এলাকায় খবর গেলে এলাকাবাসি এসে আহত মনিরকে ছড়া থেকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানিয় হাস্পাতালে পরে মৌলভীবাজার জেলা সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাস্পাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
অপরদিকে তার বন্ধু জহির মিয়াকে (২৩) ফুলছড়া চা বাগান থেকে উদ্ধার করে হাস্পাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ এ ঘটনার সাথে জরিত সন্দেহে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা প্রতিপক্ষের পাঁচজনকে আটক করেছে। তারা হলেন,ফুলছড়া চা বাগান এলাকার উত্তম তন্তবায়, চন্দন দাস,সঞ্জীব,পল্পব নায়েক, জাহাঙ্গীর। আটককৃতরা সবাই চা-বাগানের শ্রমিক বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনায় মুসলিমবাগ এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে রাত ১২টার দিকে উত্তেজিত জনতাদের নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশ সদস্য সমর বিকাশ চাকমা, শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য আজয় সিংহ ও সাংবাদিক আমজাদ হোসেন বাচ্চুসহ কয়েক জন আহত হয়েছেন।
ঘটনার সত্যতার নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গল থানার সোহেল রানা,ওসি (তদন্ত) আমার সিলেটকে বলেন, এ ঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসীকে শান্ত করতে গিয়ে আমাদের পুলিশের বেশ বেগ পেতে হয়েছে এতে পুলিশ সদস্যসহ অন্যারাও আহত হয়েছেন তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান আশিক বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত পাঁচ সন্দেহভাজনকে আহতাবস্থায় আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে। নিহতের লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
