শ্রীমঙ্গল থেকে কমলগঞ্জের এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

    0
    264

    “এদিকে  হোটেলের  রেজিস্ট্রেশন  খাতা  অনুসন্ধানে  দেখা  যায়,  তার  নাম  পরিচয়  সঠিক  থাকলেও  তার  ঠিকানায়  ভুল  তথ্য দিয়ে  সাতারকুল, উত্তর  বাড্ডা, গুলশান – ২, ঢাকা  উল্লেখ  করা হয়েছে”

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪জুন,এস কে দাশ সুমন: মৌলভীবাজার  জেলার  শ্রীমঙ্গল  উপজেলা  শহরের  হবিগঞ্জ  রোডস্থ  হোটেল  আল  মদিনার  একটি  কক্ষ  হতে  এক  যুবকের  মৃতদেহ  উদ্ধার  করেছে  শ্রীমঙ্গল  থানা  পুলিশ । শ্রীমঙ্গল  থানা  প্রশাসনের  বরাত  দিয়ে  জানা  যায়  ১৪  জুন বৃহস্পতিবার  বিকেল  সাড়ে  ৫  টায়  পুলিশ  মৃতদেহটি  উদ্ধার  করে  মর্গে  পাঠিয়েছে। শ্রীমঙ্গল পৌর  শহরের  হবিগঞ্জ  রোডস্থ  হোটেল  মদিনা’র  ৬নং  নং  কক্ষে  ঘটনাটি  ঘটে।

    নিহতের  বাড়ি  পার্শবর্তী  কমলগঞ্জ  উপজেলার  ভানুবিল  গ্রামে। হোটেল  কর্তৃপক্ষ  জানায়, গতকাল  ১৩  জুন  বুধবার  দুপুর  এক  ঘটিকায়  মো.  রুশন  আলী  (২৪)  নামের  এক   যুবক  থাকার  জন্য  হোটেলের  ৩য়  তলার  ৬নং  কক্ষটি  ভাড়া নেন। ওইদিন  রাত  শেষে  ভোরে  সেহেরি  খাওয়ার  জন্য  তার  দরজায়  কয়েকবার  ধাক্কা  দেওয়া  হলেও  কোন  সাড়া  শব্দ  পাওয়া  যায়নি।  পরে  সকাল  ১১  টার  দিকে  তাকে  আবার  ডাকা  হয়।  তখনও  একই  অবস্থা  এ  সময়  দরজার  উপর  দিয়ে  তাকে  সন্দেহজনক  মৃত  অবস্থায়  দেখতে  পেয়ে  স্থানীয়  থানায়  খবর  দেওয়া  হয়।
     খবর  পেয়ে  প্রশাসনের  লোকজন  ঘটনাস্থলে  উপস্থিত  হয়ে  ঘটনার  আলামত  সংগ্রহ  করে।  এসময়  মৃতদেহের   বিছানায়  একটি  দিয়াশলাই, একটি  সিগারেটের  প্যাকেট, ও  টেবিলের  উপরে  চারটি  টাইগারের  বোতল,  কিছু  কাচা  ছোলা  ও  পিয়াজু,  চানাচুর,  পিয়াজ,  কাচামরিচ, একটি  মোবাইল  ফোন ও  একটি  মানিব্যাগ  পাওয়া  যায় ।  মানিব্যাগের  ভেতরে  থাকা  নিহতের  জাতীয়  পরিচয়পত্রের  মূলকপি  পাওয়া  যায়।
    জাতীয় পরিচয়পত্র  অনুসন্ধানে  জানা  যায়, নিহত  রুশন  আলী  কমলগঞ্জ  উপজেলার  ভানুবিল  গ্রামের  ছায়েদ  আলী  ও  আমিনা  বেগমের  ছেলে। পরে  পুলিশ  নিহতের  বাড়ির  লোকজনের  সাথে  যোগাযোগ  করলে  রুশন  আলীর  বাবা  ও  ভাইয়েরা  এসে  লাশ  সনাক্ত  করলে  লাশটি  উদ্ধার  করে   ময়না  তদন্তের  জন্য  মৌলভীবাজার  সদর  হাসপাতাল  মর্গে  প্রেরণ  করা  হয়।
    নিহত  রুশন  আলীর  বাবা  ছায়েদ  আলী  জানান,  তার  ছয়  ছেলের  মধ্যে  রুশন  আলী  ৩য়।  সে  সিলেটে  রাজমেস্তুরীর  কাজ  করতো।  কাজের  জন্য  প্রায়ই  বাড়ির  বাইরে  থাকতো।  পরিবারের  লোকজনের  সাথে  তার  কোন  ঝায় – ঝামেলা  ছিলো  না, তেমন  কোন  শত্রুও  ছিলো  না ।  তাকে  বিদেশে  পাঠানোর  জন্য  পরিবার  থেকে  প্রস্তুতি  চলছিল।
    এদিকে  হোটেলের  রেজিস্ট্রেশন  খাতা  অনুসন্ধানে  দেখা  যায়,  তার  নাম  পরিচয়  সঠিক  থাকলেও  তার  ঠিকানায়  ভুল  তথ্য দিয়ে  সাতারকুল, উত্তর  বাড্ডা, গুলশান – ২, ঢাকা  উল্লেখ  করা হয়েছে।