শ্রীমঙ্গলে সত্তর বছর বয়সী নারী ধর্ষিত! দুই ধর্ষক আটক

0
219

আমার সিলেট রিপোর্ট: মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় দুই বখাটে যুবক কর্তৃক ধর্ষিত নারীর অভিযোগে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ উভয় ধর্ষককে রোববার রাত প্রায় দশটার দিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
ধর্ষনের অপরাধে আটক বখাটেরা হল,পলাশ কর (২২) পিতা- পরেশ কর এবং মিঠু কর (২০) পিতা- আদর কর, উভয়ের ঠিকানা পূর্ব নোওয়াগাঁও,৩ নং শ্রীমঙ্গল ইউপি,শ্রীমঙ্গল ,মৌলভীবাজার ।

পুলিশের সূত্রে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে আটকের পর ধর্ষণকারীরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর প্রায় দুইটার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৩ নং শ্রীমঙ্গল ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের পূর্ব নোয়াগাও এলাকায় ৭০ বছর বয়সী এক নারী দুই যুবক দ্বারা পালাক্রমে ধর্ষিত হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়,শ্রীমঙ্গল থানাধীন নওয়াগাঁও মোস্তফা মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন ডাক ছড়া গাঙ্গে (ছড়ায়) নিত্যদিনের ন্যায় দুপুর প্রায় দুইটার দিকে ওই নারী গোসল (স্নান) করতে ছড়াতে যায়। নিম্ন আয়ের অধিকাংশ নারী পুরুষ এই গাঙ্গে তাদের প্রয়োজনীয় স্নানসহ কাজকর্মাদি সম্পন্ন করে থাকেন।

এই সুযোগে ঘটনার সময় অতর্কিত ভাবে ওই বৃদ্ধা নারীকে দুই যুবক ঝাপটাইয়া ধরে টানা-হেচরা করে জোর জবরদস্তি মূলক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ওই নারী ছড়ার পাশে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পরলে,ধর্ষণকারীরা তাকে ফেলে চলে যায়। ঘটনার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে কোনক্রমে ছড়া থেকে উঠে পার্শ্ববর্তী স্থানীয় একজনের বাড়িতে গিয়ে উঠলে মাথায় পানি ঢেলে কিছুটা সুস্থ হয়।পরে স্থানীয়রা তার বাড়িতে পৌঁছে দেন ।
এ ঘটনায় ধর্ষিত নারীর ছেলের কাছ থেকে জানা যায় “ওই নারী ইতিমধ্যে দুইবার স্ট্রোক করেছে, তিনি ভাল করে ব্যালেন্স রেখে হাঁটতেও পারেন না।”

এ ব্যাপারে তাদেরকে গ্রেফতারকারী অফিসারদের একজন এসআই রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমার ঊর্ধ্বতন অফিসারদের সাথে কথা বললে বিস্তারিত জানা যাবে।
এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ওসি) আমিনুল ইসলাম সেলিম আমার সিলেটকে বলেন, এই ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় ধর্ষন মামলা হয়েছে, মামলা নাম্বার- ০১, তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং।
এই ঘটনার খোঁজ নিতে গিয়ে স্থানীয়দের থেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানা যায়, অপরাধীরা ঘটনা ঘটিয়ে অনেকের সাথেই গল্প করেছে যে, বেশি সময় ধরে তারা ধর্ষন করেনি! যা করেছে তা খুব অল্প সময়। ধর্ষণ যে একটি মারাত্মক অপরাধ এ বিষয়টিকে তারা পাত্তাই দেয়নি।
অপরদিকে দ্রুত পুলিশের অভিযানের কারণে তাদের আটক করায় স্থানীয়রা পুলিশের প্রতি অনেক খুশি বলে এ প্রতিনিধিকে অনেকই জানিয়েছেন। এছাড়াও অনেকে দাবী করেছে স্থানীয়দের কিছু মাতব্বর লোক বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা সফল হয়নি। আইন তাদেরকে পাকড়াও করে ফেলেছে।