সংবাদ সম্মেলনে সরকারি খরচে প্রবাসীদের মরদেহ আনার দাবি

    0
    207

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,মার্চঃ সরকারি খরচে প্রবাসীদের মরদেহ দেশে আনার দাবিতে আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি গোলটেবিল মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রবাসি অধিকার ফোরাম। ফ্রান্স এ বসবাসরত বাংলাদেশী সাংবাদিকদের সংগঠন প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে এই দাবিটি সামনে তুলে ধরা হয়।

    আজ তাদের সহযোগিতায় প্রবাসি অধিকার ফোরাম আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবি সরকারের কাছে তুলে ধরেন। সেই সাথে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা প্রবাসীদের বিমানবন্দরে হয়রানী বন্ধ, বিমানবন্দরে সিআইপি মর্যাদা প্রদান, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়াসহ বিদেশে বিভিন্ন কারাগারে আটক বাংলাদেশীদের যথাযথ আইনি সহযোগিতারও দাবি জানান।

    সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন এই সংগঠন প্রবাসীদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করে আসছে। পর্যায়ক্রমে এই সংগঠনের পরিধি বাড়ানো হবে। বক্তারা তাদের দাবি পূরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের প্রতি যথেষ্ট সংবেদনশীল। আমরা আশা করি সরকারি খরচে প্রবাসীদের মরদেহ দেশে আনার দাবিটি যথাযথভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হলে এই সমস্যা আর থাকবে না। এজন্য বক্তারা পররাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় তথা এই দুই মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহবায়ক টি এম রেজা। তিনি বক্তব্যে বলেন, সরকারি হিসেবে প্রবাসীর সংখ্যা এক কোটিরও বেশি। কিন্তু বেসরকারি হসিবে এই সংখ্যা অনেক বেশি। এই প্রবাসীরা কঠোর পরিশ্রম করে শুধু নিজের ভাগ্য বদলায়নি, জাতীয় অর্থনীতিসহ রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান এবং দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। এই অবদানের কথা মাথায় রেখে সরকার তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি দেখাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

    তিনি আরও বলেন, যারা দেশের অর্থনীতিতে রক্ত সঞ্চালনের কাজটি করছেন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমে সেই প্রবাসীরা বিদেশের মাটিতে মারা গেলে তাদের স্বজনদের কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। এখানে উল্লেখ্য যারা চুক্তিতে কোন দেশে যান তাদের মরদেহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নিজ খরচে দেশে পাঠালেও এর সংখ্যা অতি নগন্য। কারণ নিজ উদ্যোগে বিদেশে বাংলাদেশীর সংখ্যা বেশি। এরাই মারা গেলে তাদের মরদেহ নিয়ে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

    তিনি বলেন, প্রবাসীরা সরকারকে বিদেশে থেকে যে পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠায় তাদের দাবি বাস্তবায়নে যতটুকু খরচ হবে তা প্রাপ্ত রেমিটেন্সের ২ শতাশেরও কম হবে। তাই বিষয়টিকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বের সাথে দাবিটি বিবেচনায় নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
    সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ফ্রান্স এবং কানাডা প্রবাসী যথাক্রমে আশরাফুল ইসলাম, আহসান হাবিব সুমন, ইয়াহিয়া খান, সায়মন বাবু, মমতাজ আলম এবং অভিবাসন বিশেষজ্ঞ সাবেক ছাত্রনেতা শরীফুজ্জামান শরীফ।