সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম’র গ্রেপ্তারে সুনামগঞ্জে ক্ষোভ

    0
    296

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সুনামগঞ্জের সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূইঁয়া গত বুধবার নিখোঁজের ৩৬ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার বিকালে তার পরিবার জানতে পারে তাকে একটি আক্রোশমুলক ও পরিকল্পিত মামলায় আটক করে আইনশৃংখলা বাহিনী। এনিয়ে এই সাংবাদিকের বিরোধীরা,সীমান্তের চাঁদাবাজ ও সাইবার সস্ত্রাসীরা অতিরঞ্জিত ও আক্রোশ মূলক ভাবে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এ থেকে সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলাসহ জেলার ১১টি উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক সুধি সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার সর্বস্থরের জনসাধারনের মাঝে ক্ষোভের  সঞ্চার হয়েছে।

    সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূইঁয়া সম্পর্কে জানা যায়,সাংবাদিক মোজাম্মেল সাবেক সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হিসাবে মাইটিভি ও মানবকন্ঠ পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। এর পূর্বে তিনি (মোজাম্মেল) দৈনিক মানবজমিন,নয়াদিগন্ত পত্রিকায় তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এখন তিনি সাংবাদিকতার পাশা পাশি মডেলিং ও মিউজিক ভিডিওসহ নাটক নির্মান করছেন এবং বাংলাদেশের চলচিত্র সমিতির সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করছেন।

    সাংবাদিক মোজাম্মেল সাংবাদিকতার শুরু থেকেই নিজ এলাকা তাহিরপুর উপজেলা ও সুনামগঞ্জ সীমান্তের মদ,গাজা,চোরাচালান,চাদাঁবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজের বিরোদ্ধে সোচ্চার ছিলেন,তার পত্রিকায় ও টিভিতে অপরাধের স্বচিত্র প্রতিবেদনসহ নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ করে আসছিল যা এক শ্রেণীর অপরাধিদের মাথা ব্যাথা হয়ে দাঁড়ায়।

    প্রসঙ্গক্রমে স্থানিয়রা জানান,সুনামগঞ্জ সীমান্তে মদ,গাজা,চোরাচালান,চাদাঁবাজিসহ একটি সিন্ডিকেটের বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজের বিরোদ্ধে সোচ্চার থাকার জের ধরে তাহিরপুর উপজেলার চিহ্নিত ও আলোচিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পোষ্টারে আগুন দেওয়া,হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি কালী মূতি ভাঙ্গচুর,সীমান্তে চাদাঁবাজীসহ অনেক গুলো মামলার আসামী তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের মৃত বদ মিয়ার ছেলে কথিত সাংবাদিক তার ছেলে সিহাব সারোয়ার শিপুর দুর্ঘটনা জনিত ঘটনাকে  পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনার সাথে মিলিয়ে এসিড নিক্ষেপের নাটক সাজিয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১১কিলোমিটার দূর তাহিরপুর উপজেলা সদরে বসবাসকারী সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূইঁয়াকে কথিত মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়।

    এসিড নিক্ষেপ মামলার বাদী একটি জাতীয় দেনিক পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য নিজের আইডি থেকে নামে বেনামে মনগড়া সংবাদ পাঠিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সাথে সিন্ডিকেটের আরও কয়েকজন সহযোগী,সীমান্তের চাঁদাবাজ,সাইবার সস্ত্রাসীরাও একই কায়দায় অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। যার ফলে স্থানীয় সাংবাদিক সুধি সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলাবাসীর সচেতন মহল ও সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়ার নিরিহ পরিবার।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সাংবাদিকগন জানান,কিছু দিন আগেও কথিত ওই  সাংবাদিককে ইয়াবাসহ স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এছাড়াও সীমান্তে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে লাকমা ছড়া,বড়ছড়া বাজারে মহিলা শ্রমিকদের হাতে গনধোলাইয়ের শিকার হয় বলে জানান তারা।

    এছাড়াও পুন্যার্থিদের মেলাও লাঞ্চিত হয় বলে জানান স্থানীয়রা। সে সব সময় বর্তমান সরকার বিরোধী ও পুলিশ বিরোধী কার্যকমের সাথে অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জরিত। সে একাধিক বার পুলিশ প্রশাসনের ভার্বমূতি ক্ষুন্ন করার জন্য সুনামগঞ্জ জেলার সুনামধন্য জেলা পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খানের বিরোধেসহ তাহিরপুর থানায় ওসি নন্দন কান্তি ধর,এসআই তপন,জালাল উদ্দিন,জামাল উদ্দিন,মুহিত মিয়া,এএসআই রেজাসহ কয়েকজনের বিরোদ্ধে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে। এতে করে পুলিশ প্রশাসনের ভাবমূতি ক্ষুন্নের চেষ্টায় সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া ও তার ভাই সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া এর প্রতিবাদ জানায়। এর পর থেকে আরো বেপরোয়া হয়ে যায় আজাদ মিয়া ও তার সহযোগীরা।

    আজাদ মিয়ার বোন মুক্ত বেগম তার স্বামীর নিজ বাড়ির গৃহকর্মী নিয়ে এক ঘটনায় একজনকে হুমকি দিতে গিয়ে বলে, “যে ছেলে শিপুকে এসিড মারছে তাকে না ধরার জন্য তৎকালিন এসপি হারুনর রশিকে ১০হাজার টাকা দেয়।” যা  অনেকেই শুনেছে এবং বিভিন্ন পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়।
    এ বিষয়ে স্থানীয় বাসীন্দা সজিব,শফিকুল,রহিমসহ অনেকেই জানান,সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া সৎ সাংবাদিক হিসাবে র্দীঘদিন সুনামের সাথে সুনামগঞ্জ সীমান্তের মদ,গাজা,চোরাচালান,চাদাঁবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজের বিরোদ্ধে সোচ্চার হয়ে তার পত্রিকায় ও টিভিতে সংবাদ প্রকাশ করে আসছিল। এর কারনে তার উপর একাধিকবার হামলা করে প্রতিপক্ষরা। পরে সাংবাদিক মোজাম্মেল আইনের আশ্রয় নেয় ও মামলাও দায়ের করেন। কিন্তু কোন বিচার পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

    স্থানীয়রা আরো জানান,যখন এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্ধ গ্রামের কলেজ রোড়ে আর সাংবাদিক মোজাম্মেল তখন অবস্থান করে ১১কিলোমিটার দুর তাহিরপুর উপজেলা সদরে। কিন্তু এসিড মামলার বাদী তার পরিকল্পিত কুট কৌশল দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য মামলায় নিরপরাধ সাংবাদিক মোজাম্মেলকে আসামী করে। তখন এলাকাবাসী মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন সাংবাদিক সম্মেলন করেছিল। পুলিশ প্রশাসনসহ সকল আইনশৃংখলা বাহিনীরা অবগত।

    সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূইঁয়ার পরিবারের সদস্যগন জানান,আমরা প্রতিহিংসার শিকার। আজাদ মিয়ার অবৈধ ক্ষমতা ও টাকার কাছে আমরা কিছুই না। আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দমকি দিয়ে আসছে আর আগুনে পুড়ানোর ঘটনা সবাই জানে। কিন্তু আজাদ মিয়া এটাকে নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য এসিডের মামলা দায়ের করে। এখন মন গড়া সংবাদ প্রকাশ করছে। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার চাই।

    অপরদিকে এসিড মামলার বাদী আজাদ তার বিরুদ্ধে আসা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন “আমার উপর কোন মামলা নেই যা ছিল সব ফাইনাল রিপোর্ট হয়ে শেষ হয়ে গেছে।যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তা বানোয়াট ওরা আসামি মুজাম্মিলের লোক ,এলাকার কেহ আমার বিরুদ্ধে এই রকম কথা বলবেনা …আমি সাংবাদিক পরিবারের লোক।”