সালিস বৈঠকে থাপ্পর মেরে কানের পর্দা ফাটানোর অভিযোগে মামলা

    0
    304

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,২৭সেপ্টেম্বর,স্টাফ রিপোর্টারঃ  চুনারুঘাটে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার বিরোধীয় বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষে সালিশের মধ্যে আঃ মালেক মেম্বারের বেধরক পিটুনিতে আহত মোহাম্মদ আলী হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালত মামলা রজু করত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চুনারুঘাট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    স্থানীয় ও মামলার বিবরনে জান যায়, উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের  আমতলা বৈরাগী টিলা গ্রামের দরবেশ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী একই উপজেলার দেওরগাছ ইউনিয়নের আজিমাবাদ গ্রামের মরহম আলীর মেয়ের মোছাঃ সাফিয়া আক্তারকে  ১০/১১ বছর আগে বিয়ে হয়।  অনুমান ২ বছর যাবৎ মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী সাফিয়া আক্তারের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য চলে আসছে।

    মামলায় বাদী বলেন, আমার স্ত্রী বিভিন্ন সময় আমাকে বলে সে আত্মহত্যা করবে। তাই আমার ও আমার স্ত্রীর মাঝে বিরোধীয় বিষয় নিষ্পত্তি লক্ষে দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান/মেম্বারসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তির মধ্যস্থতার মাধ্যমে সালিশের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

    গত ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় উপজেলার দেওয়াগাছ ইউপি’র চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামছুন নাহারের বাড়িতে সালিশ বৈঠক শুরু হয়। এতে মিরাশী ইউপির চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন ও দু’পক্ষের লোকজনসহ এলাকার গন্যমান্য লোক উপস্থিত হন। বৈঠকে সকলের সর্বস্মতিক্রমে দেওরগাছ ইউপির চেয়ারম্যান শামছুন নাহারকে সভাপতি করে সালিশ বৈঠক চলে। সালিশ বৈঠক চলাকালে এক পর্যায়ে দেওরগাছ ইউপি ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার আঃ মালেক মিয়া আমার স্ত্রীর পক্ষ অবলম্বন করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি তার গালির প্রতিবাদ করেলে সে অমার বাম কানে ও গালে থাপ্পর মেরে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম করে।

    তিনি জানান উক্ত আঘাতের ফলে আমার বাম কান দিয়ে রক্ত পড়লে আমি মাঠিতে পরে যাই। সালিশের লোকজন অামাকে চুনারুঘাট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। দুই দিন চুনারুঘাট হাসপতালে চিকিৎসার নেওয়া পর সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তার হবিগঞ্জে রেফার্ড করা হয়। হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ২ দিন চিকিৎসার পর অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় গত ৫ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ রতন বিকাশ চন্দ্র রুদ্র ‘র সাথে দেখা করলে তিনি আমার কানের বিভিন্ন পরিক্ষা-নিরিক্ষা করেন। তিনি রিপোর্ট দেখে বলেন আমার কানের আঘাতের কারণে কানের পর্দা ফেটে গেছে। উল্লেখ্য করেছেন, আঘাত জনিত কারনে আমার বাম কানের পর্দা নষ্ট হয়ে গেছে এবং শ্রবন শক্তি চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে।

    বর্তমানে মোহাম্মদ আলী বাম কানে কিছু শুনতে পায় না বলে জানান। গত ২২ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে দেওয়গাঁছ ইউপির ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আঃ মালেকের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কগঃ-০২ আদালতে (৩২৬/৩০৭ দঃবিঃ) মামলা দায়ের করেছেন।