সিলেটের বিজ্ঞ আদালতে রীনার ন্যায় বিচার প্রার্থনা

    0
    276

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩০নভেম্বর,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ ন্যায় বিচারের পারওয়ার আশায় মামলা দিয়ে বিপাকে পড়েছেন গোয়াইনঘাট উপজেলার নয়াখেল গ্রামের বাসিন্ধা সরফ ফকির পিয়াসার স্ত্রী রীনা বেগম (৩০)।  তিনি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।

    জানা যায়- বিগত ১২ জানুয়ারী দিবাগত রাত ৮ঘটিকার সময় সিলেট তামাবিল রাস্তার চামেলীবাগ ২নং রাস্তার সন্নিকটে সিএনজি ফোরষ্ট্রোক গাড়ীর গতিরোধ করে গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি গ্রামের সবর আলীর ছেলে ফুরকান আলী (৩৫), হাবিব আলী (৪৪) ইয়াছিন আলী (২৬) এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলার ধরাবর গ্রামের মৃত মাহমদ আলীর ছেলে আব্দুল মতিন (৪৫), মৃত আরমান আলীর ছেলে শাহাব উদ্দিন (৪৫),ফরিদ উদ্দিনের ছেলে তাজ উদ্দিন (২৮)। বিবাদীগন ছেলে ও স্বামীকে গাড়ী হইতে নামিয়ে স্বামীকে মারধর করে ছেলে জুনেদ আহমদকে অপহরন করার চেষ্টা করে।

    এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় অপহরনে কবল হতে রক্ষা পান তিনি।

    এ ঘটনায় রীনা বেগম শাহপরান থানায় উল্লেখিত বিবাদীগনের বিরুদ্ধে ১৭ জানুয়ারী লিখিত অভিযোগ দাযের করেন। যাহার নং- ১২/১২। শাহপরান থানার জিআর ১২/২০১৬।

    ২৬ জানুয়ারী বাদীনি আদালতে ধার্য্য তারিখে হাজিরা দিতে গেলে আসামীরা পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী আমাকে অজ্ঞাত মহিলার মাধ্যমে পান খাওয়াইয়া অজ্ঞান করিয়া অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

    জ্ঞান ফেরার পর রিনা বেগম দেখতে পান বিবদীগন পরিবেষ্টিত অবস্থায় রহিয়াছেন। নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাহাকে পালাক্রমে ধর্ষন করা হয়।

    অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন ধর্ষনকারীরা তাকে মেরে ফেলতে উদ্যত হয়। শিশু সন্তানের দোহাই দিয়ে প্রাণ ভিক্ষা চাইলে অজ্ঞাত লোকজন হত্যা না করে একটি মাজার এলাকায় বাদীনিকে ফেলে যায়। লোকজনের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে বাদিনি জানতে পারেন তার অবস্থান ঢাকা শহরের শাহ আলী (রাহঃ) মাজার এলাকায়।

    স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় এবং এ.এস.আই হুমায়ুন কবিরের সহায়তায় তিনি শাহ আলী (রাহঃ) থানায় পৌছেন। অফিসার ইনচার্জের মাধ্যমে স্বামী সরফ ফকির পিয়াসকে জানানো হয়।

    এদিকে স্ত্রীকে না পেয়ে স্বামী সরফ ফকির পিয়াস সিলেট কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) দায়ের করে (যাহার নং ১৮০০ তারিখ, ২৭/০১/২০১৬)।

    অপরদিকে ঢাকার শাহ আলী থানার সংবাদ পাইয়া স্বাক্ষীদের নিয়া স্বামী শরফ ফকির পিয়াস শিশু সহ বাদিনীকে ফিরিয়ে আনেন।

    পরে কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ দিতে যান। থানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ গ্রহনে অপারগতা দেখাইলে বাধ্য হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল, সিলেটে অভিযোগ করেন। যাহার নং- ৯২/২০১৬। আদালতের নির্দেশে কোতোয়ালী থানায় অভিযোগটি মামলা হিসাবে অন্তভূক্ত হয়।

    বর্তমানে বাদীনির অভিযোগ আদালতে মামলা দায়েরের ফলে তিনি নানা ভাবে হয়রানীর স্বীকার হচ্ছেন।

    এদিকে মামলার বিবাদীগন বিভিন্ন ভাবে হুমকী দেখিয়ে আসছে। তাই মামলার বাদীনি সন্দিহান যে সুষ্ঠ ও ন্যায় বিচার পাওয়া হতে তিনি বঞ্চিত হতে পারেন। নিরিহদের জন্য একমাত্র আদালত হচ্ছে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির স্থান। তাই রীনা বেগম ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আদালতের কাছে ফরিয়াদ জানায়।