সিলেটের শীর্ষ চাঁদাবাজ পলিথিন আলীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন

    0
    267

    রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধিঃ  সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল খালিক ও ৫নং ফতেপুর ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেল আহমদ নিকট ৩লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি নিয়ে শীর্ষ চাঁদাবাজ পলিথিন আলীর আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকা বাংলাদেশ মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করায় প্রতিবাদ এবং শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    ১৮ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে জৈন্তাপুর উপজেলার ৫নং ফতেপুর (হরিপুর) ইউনিয়নের সচেতন মহলের উদ্যোগে হরিপুর বাজারে মানববন্ধন পালন করা হয়। হরিপুর বাজার সমিতির সভাপতি নাঈম উল্লার সভাপতিত্বে ও ৫নং ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিনের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকা বাংলাদেশ মিডিয়ার সম্পাদক নামদারী চাঁদাবাজ মো. আলী হোসেন সরকার উরফে পলিথিন আলীকে একজন শীর্ষ চাঁদাবাজ, চোরাকারবারি, মাদক ও ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসাবে ইতো মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হয়।

    প্রাথমিকের গন্ডি না পেরিয়ে পলিথিন আলী টাকার বিনিময়ে আন্ডার গ্রাাউন্ড পত্রিকার সম্পাদক বনে যান। গত ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে মো. আলী হোসেনে জৈন্তাাপুর উপজেলার হরিপুর বাজারের ইজারাদার আব্দুল খালিক ও ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেলের নিকট ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। টাকা না পেয়ে ব্যবসায়ী ও ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে পলিথিন আলীর সম্পাদিত বাংলাদেশ মিডিয়া নামক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি সিলেটের আলোচিত শীর্ষ চাঁদাবাজ চোরাকারবারি পলিথিন আলীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাই।

    এক সময় সিলেটে এসে পাড়া মহল্লায় ভ্যানে করে সবজি বিক্রয় করা যার পেশা ছিল হঠাৎ করে বনে যাওয়া কোটিপতি। সিলেটে অবৈধ পলিথিন ও ভেজাল জর্দ্দার মুকুটহীন স¤্রাট আলী হোসেন। সিলেটে নিষিদ্ধ পলিথিন সা¤্রাজ্যে একক আধিপত্য তার। সে সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে। সিলেটে তাকে ‘পলিথিন আলী’ নামেই সবাই চিনে। ভেজাল জর্দ্দা ফ্যাক্টরি পরিচালনার অভিযোগে তাকে সহ তার চার সহযোগীকে ভেজাল জর্দ্দা তৈরীর সরঞ্জামাদিসহ আটক হয় সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। হঠাৎ করে বনে যায় কোটিপতি পলিথিন আলী।
    ভারত হতে আসা অবৈধ পথে আসা মাদক ও মাদকজাত পন্য, নাছির বিড়ি, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, সুপারী, কসমেট্রিক্স, হরলিক্স, ইয়াবা, মটর সাইকেল, টাটা গাড়ীর বিভিন্ন পাসের প্রধান নিয়ন্ত্রক। মূলত বাংলাদেশ মিডিয়া পত্রিকা দিয়েই সাধারণ মানুষকে হয়রানী, চাঁদাবাজি আর অবৈধ ব্যবসার জন্য প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে আর সাধারন মানুষকে ব্ল্যাক মেইল করাই তার প্রকৃত পেশা। বাংলাদেশ মিডিয়া নামক এই পত্রিকায় সিলেটের সাধারণ মানুষ হতে শুরু করে সরকারী চাকুরিজীবী, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, পুলিশ কর্মকর্তাসহ অনেকেরই বিরুদ্ধে মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করার অভিযোগ রয়েছে। পত্রিকার কপি সিলেটে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়ে নিজেকে একজন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে পরিচয় জাহির করে তার অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করেছে বলে দাবী করেন।
    এছাড়া মানব বন্ধনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মোঃ আলা উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ দপ্তর সম্পাদক জাকারিয়া মাহমুদ, ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, সিলেট জেলা লেগুনা চালক শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ রশিদ আহমদ, ৬নং ফতেপুর ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, জাতীয় যুব সংহতি জৈন্তাপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক ময়না মিয়া, ইউপি সদস্য আব্দুল মুতলিব, সাহাব উদ্দিন, কলিম উল্লাহ, সুরুজ মিয়া, পিকআপ চালক সমিতির সভাপতি বিলাল আহমদ, সাধারন সম্পাদক হিফজুর রহমান, ফতেপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আমির উদ্দিন, সিলেট-তামাবিল বাস চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল আহমদ, শাহজালাল ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি যুবের আহমদ, উপজেলা ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক আরিফ আহমদ, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ময়নুদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা সুলতান আহমদ, আরিফ আহমদ, রুমেল আহমদ, সাবেক পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতি হাফিজ আহমদ, মাওলানা শাহেদ, খিজির আহমদ স্বপন, হেলাল আহমদ। আরও উপস্থিত ছিলেন আল আমিন, জসিম উদ্দিন, ইয়াহিয়া, আনোয়ার হোসেন, সালেহ আহমদ, শহিদুর রহমান, বুলবুল আহমাদ, মইনুল ইসলাম, কালাম, মিজান, কবির আহমদ, ইসলাম মিয়া, আব্দুল্লাহ প্রমুখ।