সিলেটে বিজিবি’র দফায় দফায় অভিযানে ৫২টি গরু-মহিষ আটক

    0
    224

    রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজলার সীমান্ত এলাকায় গত কয়েক দিন অবৈধ ভাবে চোরাই পথে গরু-মহিষ বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী বিকাল অনুমান ৪টার দিকে লালখাল সীমান্তের ১৩০০ আন্তর্জাতিক পিলারের ৩এস সাব পিলার সংলগ্ন বাঘছড়া এলাকায় চোরাকারবারী দলের সদস্য উপজেলার গোয়াবাড়ী গ্রামের রুহুল আমিন বাংলাদেশ সীমান্তের কা ালার কুলিপথ দিয়ে ৬টি ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশের প্রক্কালে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষি বাহিনী গুলি ছুড়ে।

    বিষয়টি উপজেলা ব্যাপী প্রচার হয়ে পড়লে ১৯বিজিবি’র লালাখাল ক্যাম্প অভিযানে নামে। রাত হতে সকাল ৭টা পর্যন্ত দফায় দফায় অভিযান পরিচালনা করে ৪১টি গরু এবং ১১টি মহিষ আটক করতে সক্ষম হয়।

    এলাকাবাসী জানান প্রতিদিন সন্ধ্যা হতে না হতে জৈন্তাপুর উপজেলা লালাখাল সীমান্তের জালিয়াখলা, কালিঞ্জিবাড়ী, লালখাল সারী নদী, লালাখাল চা-বাগান, আফিফা নগর, বাড়ছড়া, মাঝের রাস্তা, তুমইর, জঙ্গীবিল, দিয়ে শত শত বাংলাদেশী গরু আনার লক্ষে ভারতে প্রবশে করে। ফলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী চেরাকারবারীদের দাওয়া করে। অনেক সময় বাধ্য হয়ে গুলি চালায়। গত ২৭ জানুয়ারী রাত ৮টায় ভারতীয় গরু আনতে গেলে বিএসএফ’র গুলি খেয়ে ভারতের উখিয়াং এলাকায় ২জন শ্রমিক আহত হয়।

    আহতরা হল জৈন্তাপুর উপজলার উত্তরকালিঞ্জী বাড়ী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে রাসেল আহমদ (৩০) এবং বাইরাখেল গ্রামের মৃত আব্দুল মুতলিবের ছেলে আব্দুল জলিল (২৮), ১৪ ফেব্রুয়ারী একই ভাবে লালাখাল বাগানের বিশাল মেম্বারের সজিব (২৮) কে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়, ১৫ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৪টায় চোরাকারবারী দলের সদস্য গোয়াবাড়ী গ্রামের রুহুল আমিন ৬টি গরু ১৩০০ পিলারের ৩এস পিলার দিয়ে গরু প্রবেশের প্রক্কালে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী গুলি ছুড়ে।

    রাতে চেরাকারবারী দলের সদস্য হরিপুরের বাসিন্ধা হেলাল আহমদ সহ ৪জন চোরাকারবারী গরু মহিষ আসতে শ্রমিকদের নিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। দফায় দফায় বাংলাদেশে প্রবেশের প্রক্কালে বিজিবি অভিযান পরিচালনা করে আটক করতে সক্ষম হয়। সীমান্ত এলাকার বাসিন্ধারা জানান ভারতীয় চেরাকারবারিরা মদ ও মাদক সামগ্রী, নাছির বিড়ি, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, চা-পাতা, হরলিক্স, গাড়ীর টায়ার ইত্যাদি পণ্য সামগ্রী সহ ভারতীয় গরু মহিষ আনতে ভারতে প্রবেশ করছে।

    যে কোন সময় লালখাল সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশী নাগরিকদের মৃত্যু হতে পারে বলে আশংঙ্কা করেন। তারা আরও বলেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলি ছুড়ার বিষয়টি উপজেলা জুড়ে প্রচার হলে ১৯ বিজিবির লালাখাল বিওপি রাত হতে ভোর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ৫২টি গরু মহিষ আটক করতে সক্ষম হয়। এভাবে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখলে লালাখাল সীমান্ত এলাকায় কিছুটা হলেও চোরাকারবার বন্দ হবে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লালাখাল বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার গরু-মহিষ আটকের কথা স্বীকার করে বলেন, আমাদের টহলটিম সার্বক্ষনিক ভাবে টহল জোরদার রেখেছে। টহল জোরদার থাকার কারনে আমরা ৫২টি গরু মহিষ আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এর বাহিরে আমাদের কিছু জানা নেই। গরু গুলি উর্দ্বতন কর্মকর্থার নির্দেশে কাষ্টাম কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নিলামে বিক্রয় করা হবে।