সিলেটে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

    0
    427

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১২জুন,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ  দ্বিতীয় বারের মত মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার্থীদের নম্বর কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সিলেটে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের এমন সিদ্ধান্তকে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। সোমবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সম্মুখে সিলেট জেলা ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের ব্যানারে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, এই সিদ্ধান্ত বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতেই হবে। মেডিকেলের শিক্ষার্থী হওয়া শুধু এক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন নয়। এই স্বপ্ন এক শিক্ষার্থী পুরো পরিবারের। এ সিন্ধান্তে শুধু শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন নয় অভিভাবকদের স্বপ্নের সমাধি হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কোন ধরণের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এ ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এ সিন্ধান্ত আত্মঘাতি বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। মেডিকেলে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অনেক আশাই প্রস্তুতি নিলেও এমন সিদ্ধান্তে হীনমন্যতায় ভূগছে।

    দ্বিতীয়বারের মত মেডিকেলে ভর্তিচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা তাদের পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়ার আগ মুহুর্তে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে অনেক শিক্ষার্থী মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে। বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষার্থীরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মঘাতি ঘটনা ঘটিয়ে ফেললে এর দায় ভার সরকারকেই বহন করতে হবে। দ্বিতীয়বারের মত মেডিকেল ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে দাবী জানান দ্রুত এ সিন্ধান্ত পুন বিবেচনা করা হোক। এ সিদ্ধান্ত নিতে হলে পূর্ব ঘোষণা দিয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ নিয়ম চালু কারার আহবান জানান শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় দেশজুড়ে কঠোর আন্দোলনসহ নানা কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।

    মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জাফর দেওয়ান,ফয়সাল, রিয়াদ, পূজা, অনিক, হাসান, মইনুল, অদিতি, রকিব, সামিউন, লাবন্য, চয়নসহ প্রায় মেডিকেলে ভর্তিচ্ছুক শতাধিক শিক্ষার্থী।

    উল্লেখ্য, গত ৪ জুন সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আসন্ন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তি সংক্রান্ত সভায় আগের বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন এবং আগের বছরে সরকারি কলেজে ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৫ নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকা তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়।