সিলেট তামাবিল মহাসড়ক ফেরীঘাটে সড়ক অবরোধ

    0
    236

    ১৯ বিজিবি’র লালাখাল ক্যাম্প কর্তৃক নৌকা আটকের প্রতিবাদ,নৌকা ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার

    জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধি: ১৯ বিজিবি’র লালাখাল ক্যাম্প কর্তৃক নৌকা আটকের প্রতিবাদে সিলেট তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ, নৌকা ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার, লালাখাল ক্যাম্পের বিজিবি’র বিরুদ্ধে চাঁদা আদায় সহ চেরাচালানের বিস্তর অভিযোগ স্থানীয়দের।
    সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সারী নদীর লালাখাল খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকা হতে ১৯ বিজিবি’র লালাখাল ক্যাম্পের সদস্যরা সকাল ৯টায় তিনটি আটক করে নিয়ে যায়। এসময় তারা কয়েকজন শ্রমিককে মারধর করে। এঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিক ও নৌকা মালিকরা বিজিবি’র লালাখাল ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার তার সদস্যদের অন্যায় কার্যক্রমের প্রতিবাদ জানাতে এবং নৌকা ফেরত দিতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের ফেরীঘাট এলাকায় বিকাল ৩টা হতে ৫টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে। সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার সেকেন্ড ইন কমান্ড তপন কান্তি, এস.আই প্রদীপ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের শান্ত করেন এবং নৌকা ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাসে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে।

    অপরদিকে সড়ক অবরোধের পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রীবাহি বাস, লেগুনা, হিউম্যান হুলার, রোগী বহনকারী গাড়ী, এ্যাম্বুলেন্স, মালবাহি ট্রাক, পিকআপ অবরোধে আটকা পড়ে জন দূভোগ সৃষ্টি হয়।

    স্থানীয় লালাখালের আব্দুর রহমান, আব্দুর রহিম, ইজারাদার সোহেল তাজ সহ প্রায় শাতাধিক শ্রমিকরা জানান, ১৯ বিজিবি’র লালাখাল ক্যাম্প দীর্ঘ দিন হতে সন্ধ্যা হতে ভোর রাত পর্যন্ত লালখাল জিরো পয়েন্ট হতে লাইনম্যান আনোয়ার এবং বিজিবি’র সদস্যরা সরাসরি উপস্থিত থেকে বালু নৌকা হতে ৪শত হতে ৫শত এবং পাথরের নৌকা হতে ৯শত হতে ১হাজার টাকা প্রকাশ্যে চাঁদা উত্তোলন করে আসছে। দিনের বেলা পর্যটকদের আনাগোনা থাকায় দিনে তারা কঠোর অবস্থান নিয়ে কোন নৌকা জিরো পয়েন্ট এলাকায় যাতায়াত করতে দেয় না। রাত হলে লুটপাট অব্যাহত থাকে। উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের পারফমেন্স দেখাতে দিন দুপুরে ঘাটে বেঁধে রাখা ধরে নিয়ে যায় এবং শ্রমিকদের মারধর করে।

    তারা আরও জানান লালাখাল ক্যাম্পের বিজিবি’র লাইনম্যানদের মাধ্যমে উৎকোচ নিয়ে ভারতীয় নাছির বিড়ি, বিভিন্ন ব্যান্ডরে সিগারেট, ভারতীয় বিভিন্ন ব্যান্ডের মদ, কসমেট্রিক্স সামগ্রী সহ ভারতীয় গরু মহিষ বাংলাদেশে প্রবেশ করছে সেগুলো তারা আটক করে না, বরং বিভিন্ন সময় তারা নিরিহ শ্রমিকদের নৌকা ধরে নিয়ে যায়।