সিলেট-তামাবিল মহা-সড়ক এখন মরন ফাঁদ

    0
    257

    ৬০ কি.মি রাস্তা যেতে সময় লাগে ৩ঘন্টা, ভোগান্তিতে যাত্রীসাধারণ

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০১সেপ্টেম্বর,রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর, সিলেট প্রতিনিধি: সিলেট তামাবিল মহাসড়ক এখন মরণ ফাঁদে পরিণত। চলতি বর্ষা মৌসুমের টানা বর্ষণ ও ভারি যানবহন চলাচলের কারণে সিলেট তামাবিল মহাসড়ক বেহাল হয়ে পড়েছে। চরমভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ঈদে ঘর মুখি যাত্রী সাধারণ। ঈদের আগে মহাসড়ক সংস্কারের জন্য নির্দেশনা থাকলেও এ সড়কটিতে তেমন কোন কাজ হয়নি।

    সরেজমিনে দেখা যায়, টানা বর্ষণে ফলে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের সিলেট থেকে জাফলং পর্যন্ত প্রায় ৬০কি.মি. রাস্তায় ছোট-বড় কয়েক হাজারের অধিক খানা খন্দকের সৃিষ্ট হয়েছে। রাস্তায় পিচ ও ইটের খোয়া উঠে গেছে। দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় কোথাও কোথাও তৈরি হচ্ছে বড় বড় পুকুরের ন্যায় গর্ত। যার ফলে প্রতিদিন কোন না কোন ভাবেই সড়কটি ঘটছে নানা দূর্ঘটনা। আহত নিহত হচ্ছে যাত্রীসাধারণ, পথচারিরা, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে যানবাহন গুলো।

    মহাসড়কটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীবাহি ও পন্যবাহি যানবাহন চলাচল এবং অতি বৃষ্টির কারণে সড়কটির পিছ উঠে যায়। কংক্রিট, বালু ও বিটুমিন উঠে গিয়ে খানা খন্দকে পরিনত হয়েছে। পরিবহণ শ্রমিকদের সাথে কথা বলে যানা যায় সিলেট থেকে জাফলং পর্যন্ত প্রায় ৬০ কি.মি. রাস্তা যেতে বড় জোড় দেড় ঘন্টা সময় লাগার কথা। বর্তমানে সড়কটিতে যাত্রায়াত করতে সময় লাগে কমপক্ষে ৩ঘন্টা। তারা আরো জানান, সড়কটির এই বেহাল অবস্থার কারণে যানবাহনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে পড়ছে। যে কোন সময় এই মহা সড়কটিতে বড় ধরনের দূর্ঘটনাও ঘটার আশংঙ্কা রয়েছে।

    প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েই অসংখ্য পণ্যবাহী ট্রাক, মাইক্রোবাস, দূরপাল্লার বাস, লেগুনা, পিকআপ, অটোরিকশা সহ সহস্রাধীক যানবাহন চলাচল করে। এদিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের শুক্রবারী বাজার, হরিপুর, খরিচের ব্রীজ, পাখিটিখি, ফরফরা, দরবস্ত বাজার, সারিঘাট উত্তর ও দক্ষিণ পাড়, ফেরীঘাট দক্ষিণপাড়, ইমরান আহমদ মহিলা ডিগ্রী কলেজ গেইট, জৈন্তাপুর বাস ষ্টেশন, চাঙ্গীল বাজার, কদমখাল, রাংপানি, ৪নং বাংলা বাজার, আর্দশগ্রাম, আসামপাড়া, শ্রীপুর, আলুবাগান, নলজুরী, তামাবিল, বিজিবি ক্যাম্প, মোহাম্মদপুর আপ, মামারদোকান, বল্লাঘাট এলাকাগুলোতে রয়েছে পুকুর সমতুল্য বড় বড় গর্ত। যেন দেখার কেউ নেই।

    মাঝে মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগ লোক দেখাতে নিম্ন মানের ইট ও বালু ফেলে গর্তগুলো ভরাট করলেও রাতের বৃষ্টির পানি নিয়ে যায়। এলাকাবাসীর দাবী জরুরী ভিত্তিতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কটি সংস্কারের দাবি তুলেন।