সিলেট মাজারে বোমা হামলাঃঅভিযুক্তদের উপর কারাদণ্ড বহাল

    0
    193

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১১ফেব্রুয়ারীঃ সিলেটে হজরত শাহজালাল (রাঃ) এর মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর বোমা হামলার ঘটনায় করা মামলায় ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল  রেখেছেন হাইকোর্ট।

    বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া সাজা বহাল রেখে আজ  বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় দেন।
    মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন,হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপন।

    যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজ এবং মুফতি মাঈনউদ্দিন ওরফে আবু জান্দাল।
    এ মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি গত ৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ওইদিন মামলার রায়ের জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করা হয়।

    আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ কে এম ফয়েজ, মোহাম্মদ আলী ও হাসনা বেগম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মনিরুজ্জামান কবির।
    এক যুগ আগে ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হজরত শাহজালাল (রাঃ) মাজার প্রাঙ্গণে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়।

    এতে ঘটনাস্থলে পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের সাবেক জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন।
    ঘটনার দিন অজ্ঞাতপরিচয় আসামির বিরুদ্ধে মামলা করে সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মুফতি হান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
    এরপর সম্পূরক অভিযোগপত্র দিয়ে মাঈনউদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের নাম অন্তর্ভুক্ত করে ফের অভিযোগ গঠন করা হয়।
    বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজ এবং মুফতি মাঈনউদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে।
    নিম্ন আদালতে রায়ের পর নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় নথি হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি ২০০৯ সালে আসামিরা সাজার বিরুদ্ধে জেল আপিলও করেন। প্রায় সাত বছর পর গত ৬ জানুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।
    নবম কার্যদিবসে উভয় পক্ষের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৩ ফেব্রুয়ারিতে রায়ের জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।