সিলেট সিটিতে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ভোট একটি বড় ফ্যাক্ট

    0
    296

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শশুর বাড়ি মধুর হাড়ি এ গ্রাম্য প্রবাদটি যেন সিলেটের দুই প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা কামরান এবং আরিফের বেলায় একশোতে একশো । ময়মনসিংহ অঞ্চলের জামাই হিসেবে দু’ই জনই এই মধুর হাড়ি উপভোগে মরিয়া।শশুর বাড়ি এলাকার লোক জনও দুই জামাইয়ের প্রাপ্ত হিস্যা দিতে সতর্ক রয়েছে। আর এ হিস্যা আদায়ে দুই কন্যা কামরানের স্ত্রী ও আরিফের স্ত্রী পুরনো আত্মীয়তার খুঁজে গলি থেকে গলিতে রোধ বৃষ্টিতে সমানে।

     ভোট নিয়ে নানা হিসেব নিকেশের মধ্যে দেশের তিন সিটির নির্বাচনের শেষ সময়ে জমে উঠেছে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা।নির্বাচন সামনে রেখে রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকছে। পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, নির্বাহী-বিচারিক হাকিমসহ মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্স নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবে।

    সিলেট সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৪ জন ও নারী ১ লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন। ভোট কেন্দ্র ১৩৪টি ও ভোট কক্ষ ৯২৬টি। এ সিটিতে মেয়র প্রার্থী  রয়েছে ৭ জন।

    স্থানীয় নানা সুত্রে জানা গেছে, সিলেট মহানগরীতে ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রায় ৬৫ থেকে ৭০  হাজার মানুষ বসবাস করছেন। তন্মধ্যে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার মানুষের ভোট রয়েছে সিসিক এলাকায়। নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণে এই বিপুল সংখ্যক ভোট ফ্যাক্ট হিসেবে কাজ করবে নীতি নির্ধারকদের এমন ধারণা।

    কারণ ময়মনসিংহের টাঙ্গাইলে কামরানের এবং ময়মনসিংহে আরিফের শ্বশুরবাড়ি আর তাই নিজেদের শশুরবাড়ির অঞ্চলের এসব ভোট টানতে তৎপর  মেয়র প্রার্থি আরিফ ও কামরান। তাছাড়া কিশোরগঞ্জসহ নেত্রকোনারও প্রচুর ভোট রয়েছে।

    মূলত মহান সাধক হজরত শাহ-জালাল (রহঃ)ও শাহ-পরাণ (রহঃ) এর প্রতি ভালবাসাই ওই সমস্ত এলাকার লোকদের সিলেটের প্রতি যথেষ্ট দুর্বলতা রয়েছে আর এতে করে সিলেটের মাটি ও মানুষের সাথে বন্ধন গড়ে উঠেছে ওই এলাকার লোকদের।

    অপরদিকে নিজেদের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিজ নিজ অবস্থানে ঐক্যতা গড়ে তুলতে সিলেটে রয়েছে অনেক গুলো সংগঠন যেমন, সিলেটস্থ ময়মন সিংহ সমিতি,কিশোরগঞ্জ সমিতি,অষ্টগ্রাম ইত্যাদি।

    ওই সমস্ত সমিতির সদস্যদের সুত্রে জানা গেছে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাবে তবে ধারণা করা হচ্ছে কামরানের বাক্সে ভোট বেশী পড়তে পারে।

    ভোট নিয়ে টানাটানির ব্যাপারে বেরসিক ঝারু মিয়া রসিকতা করে বলেন “আমরা  ভোটের আগে শশুর বাড়ির আত্মীয় কিন্তু ভোটের পড়ে যেন নোয়াখাইল্ল্যা না হয়ে যায়।”