সুনামগঞ্জ দিরাইয়ে ২২৯ বস্তা ভিজিএফ এর চাল জব্দ

    0
    238

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৫মার্চ,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ   কালোবাজারে পাঁচারের অসদুদ্দেশ্যে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় চেয়ারম্যানের বাসভবনে রাখা ভিজিএফ এর ২২৯ বস্তা ভিজিএফ এর চাল জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার রাত ১২টায় জেলা প্রশাসক মোঃ সাবিরুল ইসলামের নির্দেশে দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মইন উদ্দিন ইকবাল ও এসআই মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলা সদরস্থ হারনপুর গ্রামের একটি বাসভবনে অভিযান চালিয়ে ঐ চালগুলো জব্দ করেন।

    এসময় তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুছ তার নিজ বাসভবনে উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোববার সকালে চোরাই হেফাজতে রাখা চালগুলো উপজেলা খাদ্যগুদামে জমা দানের জন্য চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছকে নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তাড়ল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুছ বলেন,আমি এর আগেও আমার নিজের বাসায় চাল রেখে ভিজিএফ কার্ডধারীদের মধ্যে বিতরন করেছি। গত ১৭ মার্চ একই উদ্দেশ্যে চালগুলো খাদ্যগুদাম হতে উত্তোলন করে আমার নিজ বাসভবনে জমা রেখেছি। ব্যক্তিগত বাসভবনে সরকারী ভিজিএফ এর চাল জমা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কোন পূর্বানুমতি নিয়েছিলেন কিনা? জানতে চাইলে চেয়ারম্যান কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

    ভিজিএফ এর চাল বিতরনের দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার রণধীর রায় বলেন,বিনানুমতিতে ব্যক্তিগত বাসভবনে সরকারী ভিজিএফ এর চাল অবৈধভাবে মজুত রাখার অভিযোগে তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুছ এর বাসভবনে অভিযান চালিয়ে চাল জব্দ করা হয়েছে। এখন জব্দকৃত চালগুলো খাদ্যগুদামে নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মইন উদ্দিন ইকবাল বলেন,এ ঘটনার ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করা হবে। তদন্তের পর জব্দকৃত চালের ব্যাপারে সিদ্বান্ত নেয়া হবে।

    এদিকে ভিজিএফ গ্রহীতারা তাদের চাল সংগ্রহের জন্য চেয়ারম্যানের বাসায় ভীড় জমিয়েছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানান। তারা বলেন,ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে গ্রাম পুলিশদের হেফাজতে না রেখে নিজের বাসভবনে ভিজিএফ এর চাল মজুত রাখার উদ্দেশ্যই হচ্ছে কালোবাজারে বিক্রয় করে অবৈধ সুবিধা নেয়া। এ অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরের জন্য এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।