সুনামগঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল ডিলার কর্তৃক আত্মসাত!

    0
    377
    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৯মার্চ,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:    সুনামগঞ্জ  জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর কার্ড সুবিধাভোগীদের নিকট বিতরণ না করে উত্তোলিত কার্ডের চাল ডিলার কর্তৃক আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে।

    জানা যায়, সরকার দুঃস্থ ও গরীব মানুষের মধ্যে ১০টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির লক্ষ্যে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৬০ জন সুবিধাভোগীর নামের তালিকা অনুমোদন করা হয়। এর মধ্যে ৯২৫টি কার্ড সুবিধাভোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। বাকী ১৩৫টি কার্ড বিতরণ না করে কার্ডের চাল ডিলার উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করছেন এমন অভিযোগ এলাকাতে ওঠেছে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে বাদাঘাট ইউনিয়নের ১হাজার ৬০ জনের নামের তালিকা থেকে ১৩৫ জনের নামের তালিকা স্থানীয় সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
    কার্ডবঞ্চিত এইসব ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়েরগড় গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম (৪৩৪৮), খোকন(৪৩৫০), জাহেরা(৪৩১৪), ফারুক মিয়া (৪৩৪৯), ফয়জুর রহমান (৪৩১৫), আব্দুল মুকিত (৪৩৩৬), ছত্তার উদ্দিন (৪৫৪৬), বিন্নাকুলি গ্রামের আব্দুল হান্নান (৪২৮০), মিনহাজ উদ্দিন (৪৪৩৯), আকলিমা (৪২১১), কুকিলা (৪১৭৭), আমজদ আলী (৪৪৪৯), সাধনা বেগম (৪৪৩৭), অঅরফিন (৪৪৬৮), শফিকুল (৪৪৬০), জালাল মিয়া ((৪৪৪৬), নুরপুর গ্রামের হিরা মিয়া (৩৯৪২), কুনাট গ্রামের ফজলুল হক (৩৯৪৮), জুলেকা (৩৯৪৭), পাঠানপাড়া গ্রামের মোঃ জহুর((৪৭২৭), শফিক (৪৩৬১), নোয়াগাও গ্রামের আবু বক্কও (৩৭০৬), হেলেনা (৩৭০৫), নাগরপুর গ্রামের রইছ উদ্দিন (৩৭৭২), শাহাব উদ্দিন (৩৭৭৫), কামরাবন্দ গ্রামের মিন্টু (৪৭২৮), শফিকুল (৩৯৫১), জৈতাপুর গ্রামের রশিদ (৪৬৯৬), ঘাগড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীন (৪৭১৭), রুশনারা খাতুন (৪৫৬৫), সবুজ মিয়া (৪৭০৮), আলী হোসেন (৪৫০৩) প্রমুখ।
    ১৩৫ জনের কার্ড বাদাঘাট ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার মহিবুর রহমান চৌধুরী ও জয়নাল আবেদীনের নিকট রয়েছে বলে জানা যায়।
    উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সরকার এ কার্যক্রম চালু করে।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাদাঘাট বাজারের এক ব্যবসায়ী আরো জানান, বাদাঘাট ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার জয়নাল আবেদীন ৩০ কেজি চালের বস্তা ৩শ’ টাকার স্থলে সুবিধাভোগীদের নিকট থেকে ৩শ ৫০ টাকা নিয়েছে। তিনি আরো জানান, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে এ পর্যন্ত ১৩৫টি কার্ডের চাল দুই ডিলার উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন।
    চালের দাম বস্তা প্রতি ৫০ টাকা বেশি নেয়ার বিষয়টি ডিলার জয়নাল আবেদীন অস্বীকার করেন।
    ডিলার মহিবুর রহমান বলেন, তিনি যথা নিয়মে বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। কোন অনিয়ম করেননি।
    তাহিরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আনোয়ারুল হক বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড বিতরণের সময় আমি এখানে ছিলাম না। এখন কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে তা পরবর্তী মাসে সমন্বয় করা হবে।